আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক শিখ মন্দিরে হামলার ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
Published : 18 Jun 2022, 01:32 PM
শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে বিস্ফোরকবোঝাই একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম টোলোর ফুটেজে ওই এলাকা থেকে উপরের দিকে গাঢ় ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
“মন্দিরের ভেতর তখন জনা তিরিশেক লোক ছিলেন। তাদের কতজন বেঁচে আছেন, কতজন মৃত তা জানি না আমরা। তালেবান সদস্যরা আমাদের ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না। কি করবো বুঝতে পারছি না,” বিস্ফোরণের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছিলেন মন্দিরের কর্মকর্তা গুরনাম সিং।
কাবুলের কমান্ডারের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের বাহিনী শিখ মন্দির এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানও চালিয়েছে।
হামলায় এক শিখ উপাসক ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে এক তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, বলেছেন ওই মুখপাত্র।
হামলাকারী কতজন ছিল এবং তাদের পরিণতি কী, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
তালেবান শাসকরা বলছে, অগাস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই তারা দেশকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থানের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফগানিস্তানে খুবই অল্প পরিমাণ শিখ বাস করেন। তালেবান ফের ক্ষমতায় আসার সময় অনেকে দেশটি ছেড়ে চলেও গেছেন বলে সম্প্রদায়টির অনেক সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আফগানিস্তানের অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মতো শিখরাও লাগাতার সহিংসতার শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে কাবুলে তাদের অন্য একটি মন্দিরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলা ২৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
শনিবার কাবুলের বিস্ফোরণের আগে শুক্রবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ; ওই বিস্ফোরণে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়।