কিইভকে পরিপূর্ণভাবে সমর্থন দেওয়ার জন্য জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি। মস্কোর সঙ্গে বার্লিনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া নিয়ে শলৎস অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
Published : 14 Jun 2022, 12:53 PM
ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো শলৎস কিইভে সফরে যেতে পারেন এমন জল্পনার মধ্যেই জার্মানির সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
“জার্মানি ইউক্রেইনকে সমর্থন করবে চ্যান্সেলর শলৎসের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা পাওয়া দরকার আমাদের। তিনি ও তার সরকারকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: ইউক্রেইন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে কোনো ভারসাম্য থাকতে পারে না,” বলেন তিনি।
অনলাইন সাময়িকী ফোকাস ইতালীয় সংবাদপত্র লা স্তাম্পার উদ্ধৃতি দিয়ে করা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তিন ইউরোপীয় নেতা (অপর দু’জন ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইতালির মারিও দ্রাঘি) ইউক্রেইনের রাজধানীতে যেতে পারেন; জুনের শেষে জি৭ এর শীর্ষ সম্মেলনের আগেই তারা সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছে জার্মান দৈনিক বিল্ড অ্যাম জনটাক।
তবে জার্মানি এখনও পর্যন্ত এসব প্রতিবেদন নিশ্চিত করেনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কিইভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেইনকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণের জন্য জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির সমালোচনা করেছে। এসব দেশ তাদের প্রতিশ্রুত অস্ত্র পাঠাতে দেরি করছে আর ইউক্রেইনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার চেয়ে নিজেদের সমৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
তবে শলৎস ও অপর দুই ইউরোপীয় নেতা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখনও পর্যন্ত কিইভ সফরে যাওয়ার সব আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন শলৎস; বলেছেন, ঘোষণা করার মতো নির্দিষ্ট কিছু নিয়েই শুধু সেখানে যেতে চান তিনি।
ইউক্রেইনের বিষয়ে শলৎসের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ত্রুটি ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ক্ষমতাসীন জোটের ক্ষুদ্র অংশীদাররা, এতে তারা হতাশ হয়ে পড়ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। ইউরোপে এ ধরনের বিরোধ বাড়তে থাকলে তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা ঐক্যকে দুর্বল করার সম্ভাবনা তৈরি করবে।
সোমবার শলৎস সাংবাদিকদের বলেছেন, জার্মানি ইউক্রেইনকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক কিছু মোবাইল আর্টিলারি সিস্টেম পাঠাচ্ছে; তবে এগুলো পাঠাতে কিছুটা সময় লাগবে, কারণ এগুলো ব্যবহার করার জন্য জার্মানির প্রথমে ইউক্রেইনীয় ক্রুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া লাগবে।
আরও পড়ুন: