কৃষ্ণ সাগরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত রুশ যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
Published : 15 Apr 2022, 09:02 AM
মিসাইল ক্রুজার মস্কভা ছিল রাশিয়ার সমর ক্ষমতার প্রতীক। কৃষ্ণ সাগর থেকে ইউক্রেইনে হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছিল জাহাজটি।
বুধবার বিস্ফোরণে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৫১০ জন ক্রুকে সরিয়ে বৃহস্পতিবার সেটিকে টো করে বন্দরে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
সে সময় বিক্ষুব্ধ সাগরে জাহাজটি ডুবে যায় বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।
মস্কভায় বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এসেছে।ইউক্রেইন দাবি করেছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধজাহাজটিতে আঘাত হেনেছে। তবে রাশিয়া কোনো হামলার কথা স্বীকার করেনি। তারা বলছে, জাহাজটিতে রাখা গোলাবারুদে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গিয়েছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সোভিয়েত আমলের মিসাইল ক্রুজারটির আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু পরে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো মস্কভার ডুবে যাওয়ার খবর দেয়।
উক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দাবি করেছিল, ইউক্রেইন নির্মিত জাহাজ-বিধ্বংসী নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর রুশ যুদ্ধজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌ শক্তির হুমকি রুখতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ইউক্রেইন।
২০২১ এর এপ্রিলে রাশিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল মস্কভাকে ‘কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
ইউক্রেইনে সামরিক অভিযানে ব্যর্থতার আবর্তে থাকা রাশিয়ার জন্য মস্কভা যুদ্ধজাহাজের ক্ষতি আরেকটি বড় ধাক্কা। যুদ্ধের ৫০তম দিনে জাহাজটি হারাল রাশিয়া, যখন তারা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলে বড় ধরনের আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভ দখলে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা থেকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে। নতুন হামলার জন্য সেখানে নতুন করে সমরসজ্জা চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।
বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “রুশ বাহিনী তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেইনের দক্ষিণ এবং পূর্বের অঞ্চলগুলোতে তৎপরতা জোরদার করেছে।”
গত মাসে ইউক্রেইন দাবি করেছিল, তারা আজভ সাগরে ওর্স্ক নামে রাশিয়ার একটি বিশাল ল্যান্ডিং সার্পোট শিপ ধ্বংস করেছে। তবে ওর্স্কের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।
আরও পড়ুন: