যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেইনের সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য ‘নীতিগতভাবে’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন।
Published : 21 Feb 2022, 09:48 AM
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশটিতে আগ্রাসন না চালালেই কেবল ফ্রান্সের প্রস্তাবিত এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকে কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে নাজুক নিরাপত্তা সংকটের একটি সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব আসতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও পুতিনের মধ্যে দুটি টেলিফোন কলে মোট প্রায় তিন ঘণ্টা কথা হওয়ার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তর বৈঠকের প্রস্তাবটি ঘোষণা করে।
বাইডেনের সঙ্গে ১৫ মিনিট ধরে কথা বলার পর ম্যাক্রোঁ মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার প্রথম প্রহরের দিকে দ্বিতীয়বারের মতো পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন।
ম্যাক্রোঁর দপ্তর জানিয়েছে, সম্ভাব্য এ শীর্ষ বৈঠকের বিস্তারিত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বৈঠকে আলোচিত হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রথম ফোন কলে পুতিন এ সংকটের ‘একটি কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার’ দেওয়া দরকার বলে সহমত হন এবং অস্ত্রবিরতির লক্ষ্যে ‘পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা ধরে ব্যাপক কাজ’ করার আশ্বাস দেন।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীকে দায় দিয়েছেন। এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেইন পুরো পরিস্থিতির জন্য মস্কোকে দায়ী করেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, উভয় নেতাই নারম্যান্ডি ফরম্যাটে ফের আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন; দনবাসের সংঘাতের সমাধানে রাশিয়া, ইউক্রেইন, ফ্রান্স ও জার্মানিকে নিয়ে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ম্যাক্রোঁকে দেওয়া পুতিনের প্রতিশ্রুতি একটি ‘ওয়েলকাম সাইন’, তিনি সম্ভবত এখনও ‘একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে নিয়োজিত’ আছেন।
কিন্তু তিনি পুতিনকে ‘তার বর্তমান হুমকি থেকে পিছিয়ে যেতে এবং ইউক্রেইন সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যগুলো থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, রাশিয়া একটি সামরিক অভিযান শুরু করার জন্য প্রস্তুত। মার্কিন কর্মকর্তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো।