বিবিসি জানায়, নিষেধাজ্ঞার পরও অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে দ্বিতীয়বারের মতো এই সাজা পেলেন চাউ হ্যাং তাং। ২০২০ ও ২০২১ সাল- দুই বছরই তিনি ওই স্মরণানুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করেছিলেন।
১৯৮৯ সালের ৪ জুনে বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে জড়ো হওয়া শত শত ছাত্র-শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। গোটা বিশ্ব সেই নৃশংসতা প্রতক্ষ্য করেছে।
হংকংয়ের বাসিন্দারা প্রতিবছর ৪ জুন ভিক্টোরিয়া পার্কে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহত সেই বিক্ষোভকারীদের স্মরণ করে। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিধিনিষেধের কথা বলে টানা দুই বছর তিয়েনয়ানমেন স্মরণানুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ রেখেছে হংকং কর্তৃপক্ষ।
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ২০২০ সালেও একই ধরনের আয়োজনে অংশগ্রহণ ও অন্যদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে চাউ এরই মধ্যে ১২ মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন।
আর এখন তিনি নতুন করে যে কারাদণ্ড পেলেন তার মধ্যে ৫ মাস আগের ওই কারাদণ্ডের সঙ্গে যুগপৎভাবেই চলবে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে চাউকে মোট ২২ মাস কারাভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার চাউকে দ্বিতীয় দফায় কারাদণ্ড দেওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট অ্যামি চান বলেন, ‘‘আইন কখনও কাউকে স্বাধীনতার নামে বেআইনি কাজ করার অনুমতি দেয় না।”
একজন শিক্ষানবিশ ব্যারিস্টার চাউ নিজেই নিজের মামলা লড়েছেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, ‘‘জনগণকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমবেত করা নয় বরং তাদেরকে ৪ জুনের কথা স্মরণে রাখতে উৎসাহিত করাই তার উদ্দেশ্য ছিল।”
তবে বিচারক তার এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটা ‘এক কথায় অবিশ্বাস্য’।