ব্রাজিলের আমাজন বনভূমি উজাড় হওয়া গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এক বছরেই বন উজাড়ের হার বেড়েছে ২২ শতাংশ।
Published : 19 Nov 2021, 07:27 PM
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইএনপিই) প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
বিবিসি জানায়, জলবায়ু সংকট রোধে সদ্য সমাপ্ত কপ ২৬ সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় পুরোপুরি বন্ধ করতে একাধিক দেশের সই করা চুক্তিতে সামিল হয়েছে ব্রাজিলও।
আমাজনে প্রায় ৩০ লাখ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে; আরও আছে ১০ লাখ আদিবাসী মানুষ। কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করে বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে এই বনাঞ্চল।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১২,২৩৫ বর্গকিলোমিটার (৫১১০ স্কয়ার মাইল) বনভূমি উজাড় হয়েছে। ২০০৬ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ বনাঞ্চল উজাড়ের ঘটনা।
বন উজাড়ের এই মাত্রাকে ব্রাজিলের জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ আখ্যা দিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী জোয়াকিম লেইট। তিনি বলেন, এই অপরাধ দমনে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। জোয়াকিম এও বলেন যে, আইএনপিই’র তথ্যে ব্রাজিলের গত কয়েক মাসের পরিস্থিতি উঠে আসেনি।
ব্রাজিলে বনভূমি উজাড়ের ঘটনা বেড়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর আমলে। আমাজনের চিরহরিৎবনে চাষাবাদ এবং খনিজ সম্পদ আহরণে তৎপর হয়েছেন তিনি।
বন উজাড় নিয়ে আইএনপিই’র সঙ্গে বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন বলসোনারো। ২০১৯ সালে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, আইএনপিই ব্রাজিলের সুনাম নষ্ট করছে।
অথচ নভেম্বরেই গ্লাসেগোতে হয়ে যাওয়া কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে ব্রাজিল বন উজাড় বন্ধে চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তিতে ১,৯২o কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বনাঞ্চল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, দাবানল মোকাবেলা করা এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে এই তহবিলের কিছু অংশ ব্যয় করা হবে।