যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজের নতুন একটি স্যোশাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। এর নাম হবে ‘ট্রুথ সোশ্যাল’।
Published : 21 Oct 2021, 09:51 PM
ট্রাম্প বলেছেন, বিগ টেক হিসেবে পরিচিত ‘বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে’ তার নতুন প্লাটফর্ম। ট্রাম্পের অভিযোগ, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে।
বিবিসি জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। আর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও ট্রাম্পের যোগাযোগের খুব পছন্দনীয় পন্থা ছিল স্যোশাল মিডিয়াই।
গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করে টুইটার। আর ফেইসবুক তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে। ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলের ওই ঘটনায় ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়।
ট্রাম্পের নানা সমালোচনামূলক, অপমানজনক, মিথ্যা পোস্টের কারণে তার প্রেসিডেন্সির গোটা সময়জুড়েই স্যোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার জন্য চাপের মুখে ছিল।
গত বছর টুইটার এবং ফেইসবুক ট্রাম্পের কিছু কিছু পোস্ট বিভ্রান্তিকর হিসাবে চিহ্নিত করে তা ডিলিট করতে শুরু করে। গতবছরের শেষদিকে ট্রাম্প ‘কোভিড স্রেফ একটা জ্বর’ লেখা পোস্ট করার পর ফেইসবুক সেটি ভুল তথ্য বলে সরিয়ে দেয়।
আর ক্যাপিটলে দাঙ্গার ঘটনায় জড়িতদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করা এবং নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার কোনও লক্ষণও ট্রাম্প না দেখানোয় টুইটার এবং ফেইসবুক তাকে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে রায় দেয়।
তখন থেকেই ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন যে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরির পরিকল্পনা করছেন। এ বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প 'ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প' নামে এক ধরনের ব্লগ চালু করেন।
কিন্তু চালু হওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই ব্লগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রাম্পের সহযোগী জেসন মিলার বলেছেন, "আমরা বড় পরিসরে যা নিয়ে কাজ করেছি এবং করছি এটি ছিল তারই একটি অংশ।"
ট্রাম্প মেডিয়া এন্ড টেকনোলোজি গ্রুপ (টিএমটিজি) এক বিবৃৃতিতে বলেছে, নতুন স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ এর প্রাথমিক সংস্করণ আগামী মাস থেকে কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য চালু করা হবে। এরপর ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ট্রাম্প লিখেছেন, "আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি যেখানে টুইটারে তালেবানেরও ব্যাপক উপস্থিতি আছে, অথচ জনপ্রিয় একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তারা চুপ করিয়ে দিয়েছে।"
"সবাই আমাকে প্রশ্ন করে কেন কেউ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না? আমরা এখন খুব শিগগিরই সেটিই করতে চলেছি।"