মিশরের প্রশাসনিক বিচারিক আদালত স্টেট কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছেন ৯৮ জন নারী বিচারক।
Published : 20 Oct 2021, 08:55 PM
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার রাজধানী কায়রোয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কাউন্সিলের প্রধান বিচারকের সামনে শপথ নেন এই বিচারকরা।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি দেশের দুই প্রধান বিচারালয় স্টেট কাউন্সিল এবং পাবলিক প্রসেকিউশনে নারীদের অংশগ্রহণের দ্বার খোলার উদ্যোগ নেওয়ার কয়েকমাস পর তা বাস্তবায়িত হল।
১৯৪৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে স্টেট কাউন্সিলে শুধু পুরুষরাই নিয়োগ পেয়ে এসেছেন, এমনকী এখন পর্যন্ত সেখানে নারী আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়ে এসেছে।
গত কয়েক বছরে নারীরা স্টেট কাউন্সিলের এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন। নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগও করেছেন তারা।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি গত মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলক্ষে স্টেট কাউন্সিল এবং পাবলিক প্রসিকিউশনে নারী বিচারকের নিয়োগ অনুমোদন করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
নারী অধিকারকর্মীরা তখন প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এরপর গত জুনে মিশরের বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বোচ্চ পরিষদ এক বৈঠকে নারী নিয়োগের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
ঘোষণায় বলা হয়েছিল, এ বছর অক্টোবর থেকে মিশরীয় নারীরা প্রথম স্টেট কাউন্সিল এবং পাবলিক প্রসিকিউশনে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
স্টেট কাউন্সিলের নারী সদস্যদের প্রথম ব্যাচে আছেন ৪৮ জন বিচারক, যারা অ্যাসিসটেন্ট কাউন্সিলর হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর ৫০ জন নারী নিয়োগ পেয়েছেন ভাইস-কাউন্সিলর হিসাবে।
স্টেট কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহা কারসৌয়া এ পদক্ষেপকে নারীদের জন্য ‘প্রিয় উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন। আরেক নারী বিচারক বলেন, “আজ মিশরীয় নারীদের জয় হয়েছে,বাস্তবায়িত হয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতার সাংবিধানিক ধারা।”
মিশরে এতদিন পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে ১৬ হাজারের বেশি বিচারকের মধ্যে নারী বিচারকের সংখ্যা কখনও ৬৬ পেরোয়নি। তার মানে, দেশটিতে মোট বিচারকের মাত্র ০.৫ শতাংশ ছিল নারী।
আর এখন ৯৮ জন নারী বিচারকের নিয়োগপ্রাপ্তির প্রশংসা করে মিশরের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ওমেন (এনসিডব্লিউ) বলেছে, এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নারীর আরও ক্ষমতায়ন করার জন্য দেশের নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।