রাজকুমারী হতে চায় এমন প্রত্যেক মেয়েরই সম্ভবত জাপানি রাজকুমারী মাকোর সঙ্গে একবার হলেও কথা বলা দরকার।
Published : 01 Oct 2021, 03:49 PM
রাজপ্রাসাদে বড় হয়েছেন, কিন্তু প্রেমে পড়েছেন সাধারণ ঘরের এক ছেলের। বাগদানের চার বছর পর অবশেষে বিয়েও করছেন; এজন্য ছাড়তে হচ্ছে রাজকীয় মর্যাদা, পদবী। রীতি অনুযায়ী পরিবার থেকে যে অর্থ দেওয়ার কথা, তা নিতেও নাকি তিনি রাজি নন বলে খবর বেরিয়েছে।
জাপানের রাজপরিবারের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থা রাজকুমারী মাকোর বিয়ের তারিখ ঘোষণা করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ঘোষণা অনুযায়ী, সম্রাট নারুহিতোর ২৯ বছর বয়সী ভাতিজি মাকো আগামী ২৬ অক্টোবর তার বাগদত্তা কিই কুমুরোকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন।
জাপানের আইন অনুযায়ী, রাজপরিবারের কোনো মেয়ে যদি সাধারণ ঘরের কাউকে বিয়ে করেন, তাহলে তাকে পদবী ছাড়তে হয়। তবে রাজপরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য এ ধরনের কোনো বিধান নেই।
বিবিসি লিখেছে, কয়েক বছরের বিতর্কের পর অবশেষে রাজকুমারী মাকো তার একসময়ের সহপাঠী কুমুরোকে বিয়ে এবং রাজকীয় পদবী ত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
এই যুগল প্রথমে ২০১৮ সালেই বিয়ে সারার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু পরে তা পিছিয়ে যায়।
বিয়ের পর দুজনই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শুরু করবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কুমুরো সেখানে আইন পেশায় কর্মরত।
টোকিওর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ২০১২ সালে দুজনের পরিচয়; এর ৫ বছর পর হয় বাগদান।
পরে খবর বের হয়, কুমুরোর মা তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন; তিনি তার একসময়ের বাগদত্তার কাছ থেকে ঋণ নিয়েও তা শোধ দিতে পারেননি।
এ কারণেই মাকো ও কুমুরোর বিয়ে পিছিয়ে গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে গুঞ্জন শুরু হয়।
পরে রাজপ্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানায়, বিয়ে পেছানোর সঙ্গে কুমুরোর মায়ের অর্থনৈতিক সংকটের কোনো যোগসূত্র নেই।
মাকো’র বাবা ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো অবশ্য ‘রাজকুমারীর বিয়ের আগেই অর্থ সংক্রান্ত বিষয়টির মীমাংসা হওয়া দরকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
প্রাসাদ ছাড়ার সময় জাপানে রাজপরিবারের সদস্যদের এককালীন সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ইয়েন (১৩ লাখ ডলারের মতো) পর্যন্ত দেওয়ার একটি রীতি আছে, মাকো তাও নিচ্ছেন না বলে খবর বেরিয়েছে।
জাপানি এ রাজকুমারী রাজপরিবারের বিয়েতে সাধারণত যে যে আচার-অনুষ্ঠান হয়, সেগুলোও বর্জন করতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এককালীন অর্থ ও আচার-অনুষ্ঠান দুটোই পরিত্যাগ করলে, মাকোই হতে যাচ্ছেন জাপানি রাজপরিবারের প্রথম নারী সদস্য, যিনি এমনটা করলেন।