আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ডলার এবং স্থানীয় শিল্পকর্ম বিদেশে স্থানান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান।
Published : 25 Aug 2021, 11:34 PM
আফগান ইসলামিক প্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র বলেছেন, এই জিনিসগুলোসহ কেউ ধরা পড়লে তা জব্দ করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফগানিস্তানে একের পর এক বিদেশি সহায়তা বন্ধ হতে থাকার মুখে তালেবান এমন পদক্ষেপ নিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগান রিকন্সট্রাকশন (সিগার) এর তথ্যমতে, আফগানিস্তানের বাজেটের ৮০ শতাংশই আসে বিদেশি ত্রাণ তহবিল থেকে।
তালেবান গত ১৪ অগাস্ট আফগানিস্তান দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দেশ অর্থ সহায়তা বন্ধ করেছে।
আফগানিস্তানে চলমান প্রকল্পগুলোতে সর্বশেষ তহবিল স্থগিত করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এর আগে আরেক ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আফগানিস্তানে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল।
তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে আফগান সেন্ট্রাল ব্যাংকের রিজার্ভও জব্দ হয়েছে। ফলে এই ব্যাংকের ৯শ’ কোটি ডলার রিজার্ভের বেশিরভাগই আটকা পড়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে সেখান থেকে কোনও অর্থ তুলতে দিচ্ছে না।
বিশ্বের কয়েকটি দেশও আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করেছে। এর মধ্যে আছে জার্মানি, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আফগানিস্তানে উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (ওডিএ) বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে বলেছে, তারা সেখানে মানবিক সহায়তা বাড়িয়ে দিতে পারে। আফগানিস্তানে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪০ কোটি ডলারের ওডিএ তহবিল দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল ইইউ।
এছাড়া, গতবছর নভেম্বরে এক আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলনে আফগানিস্তানে আগামী চার বছরের জন্য মোট ১২শ’ কোটি ডলার সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আফগানিস্তানের বর্তমান সংকটে সেই প্রতিশ্রুতির কী হবে তাও জানা নেই।