আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত চীন

আফগানিস্তানের সঙ্গে দৃঢ় ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক’ সম্পর্কের জন্য চীন প্রস্তুত। তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর চীন সরকারের এক মুখপাত্র একথা বলেছেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং সোমবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই সময়ে আফগান জনগণের ‘ইচ্ছা ও পছন্দকে‘ চীন সম্মান করে। চীনের সঙ্গে তালেবানের সুসম্পর্কের ইচ্ছাকে বেইজিং স্বাগত জানায়।

তবে চীন ‘পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে’ বলেও জানান চুনইং। চীন বিশেষত শিনজিয়াংয়ে আফগান পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেবে না বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় ‘গ্লোবাল টাইমস’ পত্রিকা।

বিবিসি জানায়, চীনে আফগানিস্তানের ঘটনাবলী দিনের শীর্ষ সংবাদ হিসাবে গণমাধ্যমে স্থান করে নিচ্ছে। পত্রপত্রিকায় আফগানিস্তান পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হচ্ছে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় এবং ব্যর্থতা হিসাবে।

বিশ্বের অনেক দেশ তাদের দূতাবাস বন্ধ করে কূটনীতিক এবং নাগরিকদের আফগানিস্তানে থেকে সরিয়ে নিতে থাকলেও চীন বলছে, কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলা এবং কাউকেই ফিরিয়ে আনা হবে না।

আফগানিস্তানে চীনের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে (আফগানিস্তান) চীনা নাগরিকদের কেউ হতাহত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তাই নাগরিক এবং দূতাবাস কর্মীদের কাউকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বেইজিংয়ের নেই বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা।

তবে আফগানিস্তানে চীনা নাগরিকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং যে কোনও প্রয়োজনে বৈশ্বিক জরুরি কল সেন্টারে ফোন করতে বলা হয়েছে বলে জানায় পত্রিকাটি।

 এ থেকে “তালেবানের সঙ্গে চীনা দূতাবাসের যোগাযোগ রয়েছে” এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। চীন সরকারের সঙ্গেও তালেবানের যোগাযোগ ঘটেছে কিছুদিন আগেই।

গত ২৮ জুলাই তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আব্দুল গনি বারাদারের নেতৃত্বে তালেবানের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর গিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। আলোচনা হয়েছিল শান্তিপ্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে।

বৈঠকে তালেবান প্রতিনিধিরা চীনকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, আফগানিস্তানের মাটি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দেওয়া হবে না।” অন্যদিকে, চীনও আফগানদেরকে সহায়তা করে যাওয়া অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিল, তারা আফগানিস্তানের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, তবে দেশটির সমস্যা সমাধানে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।”