আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে গত তিনদিনে তিনটি প্রদেশে অন্তত ২৭ শিশু নিহত এবং শতাধিক শিশু আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
Published : 09 Aug 2021, 10:44 PM
সোমবার শিশু হতাহতের এই পরিসংখ্যান দিয়ে ইউনিসেফ বলেছে, শিশুর বিরুদ্ধে এমন সহিংসতা এবং অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তারা খুবই মর্মাহত।
সংস্থাটি জানায়, গত তিনদিনে কান্দাহার, খোস্ত এবং পাকতিয়া প্রদেশে ২৭ শিশুর মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। আর এই তিন জায়গাতেই একই সময়ে আহত হয়েছে ১৩৬ শিশু। শিশুর বিরুদ্ধে নৃশসংতা দিন দিনই বাড়ছে।
ইউনিসেফের আফগানিস্তান বিষয়ক প্রতিনিধি হার্ভি লুদভিক ডি লিস এক বিবৃতিতে বলেন, “এগুলো কেবলমাত্র সংখ্যা নয়, প্রতিটি মৃত্যু এবং প্রতিটি শিশুর শারিরীক যন্ত্রণা ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি।”
“এই শিশুরা কারও আদরের কন্যা, করো পুত্র, ভাই, বোন, কাজিন কিংবা বন্ধু। আন্তর্জাতিক আইনে এই শিশুদের সবারই সুরক্ষিত থাকার অধিকার আছে। কিন্তু বিবাদমান পক্ষগুলো এই অধিকার লঙ্ঘন করছে।”
ইউনিসেফ শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আফগানিস্তানের সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চেলে যেতে শুরু করার পরই সম্প্রতি কয়েকমাসে তালেবান দেশটির কয়েক ডজন জেলা এবং সীমান্ত পারাপার এলাকা দখলে নেওয়ার পর প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে চড়াও হয়েছে।
কোনওরকম লড়াই ছাড়াই তালেবান যোদ্ধারা আয়বাক দখলে নিয়েছে। নগরীটিকে সহিংসতার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ করেছিলেন কমিউনিটি নেতারা। এরপরই প্রাদেশিক গভর্নর তা মেনে নেন এবং গোটা বাহিনী নিয়ে নগরী ছেড়ে চলে যান বলে জানিয়েছেন ডেপুটি গভর্নর্ সেফাতুল্লাহ।
এর আগে রোববার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় তিনটি প্রাদেশিক রাজধানী কুন্দুজ, সার-ই-পুল এবং তালোকান দখল করেছে তালেবান। এরও আগের দুইদিনে তারা দখল করেছে জারাঞ্জ এবং শেবারগান।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলে আরেক প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত এবং দক্ষিণের কান্দাহার ও লস্কর গা দখলে নিতেও তালেবান লড়াই চালাচ্ছে। সেখানে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল লড়াই চলছে।
লস্কর গা তে গত দুইদিনের লড়াইয়ে ২০ জন নিহত হওয়া ছাড়াও একটি স্কুল এবং ক্লিনিক ধ্বংস হয়েছে।