বাইডেন যুগে চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রথম বাণিজ্য বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বৈঠক করেছেন দুই দেশের শীর্ষ আলোচকরা।

বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন টাই এবং চীনা ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকে স্পষ্ট ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।

উভয় পক্ষই জানিয়েছে, টাই এবং লিউ হি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে চীনের প্রতি তার প্রশাসনের প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে সৃষ্ট বাণিজ্য যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে এমন বৈঠক হল।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয় বলছে, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের শ্রমিককেন্দ্রিক বাণিজ্যনীতি ও চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কের চলমান পর্যালোচনা নিয়ে আলোচনা করেছেন টাই এবং হি।

পাশাপাশি তারা পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন এবং বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন।

ওদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্যাথরিন টাই এবং লিউ হি সাম্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মনোভাব নিয়ে স্পষ্ট, বাস্তবসম্মত ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন।

 তাছাড়া, দুই পক্ষই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিকাশকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।

এই বৈঠকের আগে ক্যাথরিন টাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনও ‘অনেক বড় চ্যালেঞ্জের’ মুখে আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় তিক্ত বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশ। পরে গতবছরজানুয়ারিতে বিশ্বের এই দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ একটি চুক্তি করে।

চুক্তিতে বেইজিং ২০২০-২১ সালে কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য ও পরিষেবা ক্রয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন টাই বলেছেন, ওই চুক্তির শর্তগুলো বেইজিং পূরণ করেছে কিনা সেদিকে তিনি নজর রাখছেন।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, মার্কিন পণ্য কেনার চুক্তির ৪০ শতাংশই পূরণ করেনি চীন। তবে বাইডেন প্রশাসন এখন পর্যন্ত তার পূর্বসূরির অনুসৃত কঠোর বাণিজ্য বার্তা দেওয়ার পথে যায়নি।