কিউবায় মার্কিন দূতাবাস কর্মীরা যে রহস্যজনক অসুস্থতায় ভুগেছিলেন সেটি ‘খুব সম্ভবত নিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র তরঙ্গের বিকিরণে’ হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
Published : 06 Dec 2020, 05:22 PM
উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই তরঙ্গ শক্তি পাঠানো হয়েছিল কিনা, কিংবা একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা- যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিস অব সায়েন্সের প্রতিবেদনে সে বিষয়ে কিছু বলা না হলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন যে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে পালসড রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির শক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হাভানায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা প্রথম ২০১৬-১৭ সালের দিকে রহস্যজনক ওই অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন।
সেসময় থেকেই দূতাবাস কর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, কানে কম শোনা, বিষন্নতা ও সজ্ঞানতার সমস্যাসহ নানান ধরনের উপসর্গের কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্র পরে কিউবার বিরুদ্ধে দূতাবাস কর্মীদের উপর ‘শব্দতরঙ্গ হামলা’ চালানোর অভিযোগ করলেও হাভানা দৃঢ়ভাবে তা অস্বীকার করে।
মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের এ অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাও বাড়তে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমির গবেষণায় চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা ৪০ সরকারি কর্মকর্তার উপসর্গগুলো খতিয়ে দেখেন।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ওই সরকারি কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্র ও তীব্র লক্ষণ, উপসর্গ এবং পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত পালসড রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শক্তির প্রভাবের সামঞ্জস্য আছে বলে কমিটির মনে হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডার দূতাবাস কর্মীরাও একই ধরনের উপসর্গের কথা জানায়। অটোয়া পরে কিউবায় তাদের কর্মীসংখ্যাও কমিয়ে ফেলে।