যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবারের নির্বাচনের পর ভোট গণনা এখনও চলছে। তার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক আইনি পদক্ষেপ এবং ভোট গণনা ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে সেদিকেই দৃষ্টি দিচ্ছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো।
Published : 06 Nov 2020, 06:56 PM
চীনের জাতীয়তাবাদী ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস বলছে, “এই ভোট যুক্তরাষ্ট্রে বিভাজন, সহিংসতা, দুর্ভোগ বয়ে এনেছে।” চীনে এই নির্বাচন মূলত হাসি-ঠাট্টার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ইরানের সম্প্রচারমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ভোট গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভের খবর দিয়েছে। রেডিও ইরান (ভিআইআরআই) যুক্তরাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকার মধ্যে নির্বাচনী ফলাফলের অস্পষ্টতা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে।
রাশিয়ার ক্রেমলিনপন্থি টিভি চ্যানেল শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে আর শীর্ষ সংবাদ হিসাবে প্রচার না করলেও অন্যান্য সব চ্যানেলেই প্রাধান্য পেয়েছে ট্রাম্পের ভোট চুরির অভিযোগ। তবে ট্রাম্পের এই অভিযোগের যে কোনও প্রমাণ নেই তা খবরে বলা হয়নি।
ইতালির ‘কোরিয়ে ডেলা সেরা’ পত্রিকা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে দেখছে ‘গণতন্ত্রের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা’ হিসাবে।
ওদিকে, ইসরায়েলের ইদিওত আহরনত পত্রিকায় এক সাংবাদিক বলেছেন, জো বাইডেন জিতলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সঙ্গে চলবেন সেটিই তিনি আশা করেন।
ফিলিস্তিনি আল-কুদস পত্রিকা বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এলেই যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইসরায়েল ঘেঁষা নীতি উল্টে দেবেন তেমন আশা দেখছে না।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা শিরোনাম করেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ২০২০: ডনাল্ড ট্রাম্পের মামলা আছে? জুরির সিদ্ধান্ত নেই।” ওদিকে, পাকিস্তানের দৈনিক ডন পত্রিকা শিরোনাম করেছে , “বাইডেন হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, ট্রাম্প যাচ্ছেন আদালতে।”
ওদিকে, কেনিয়ার স্ট্যান্ডার্ড নিউজপেপারের ব্যানার হেডলাইন, “শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা”। নাইজেরিয়ার পত্রিকাও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ঘিরে টানটান উত্তেজনা এবং উদ্বেগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে।
অন্যদিকে, লাইবেরিয়ার ফ্রন্টপেজ আফ্রিকা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গৃহযুদ্ধের সময় দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই লাইবেরীয় নাগরিক কলোরাডো এবং রোড আইল্যান্ডের প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত হয়েছে।