ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে এবার সুদান

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং বাহরাইনের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে সুদান।

>>রয়টার্স
Published : 23 Oct 2020, 08:20 PM
Updated : 24 Oct 2020, 05:20 AM

এবারও যুক্তরাষ্ট্রেরই উদ্যোগে ইসরায়েল এবং সুদান শুক্রবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফোনকলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদকের সঙ্গে কথা বলে চুক্তি পাকা করেন।

পরে হোয়াইট হাউস থেকেই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে বলেন, ইসরায়েল এবং সুদান শান্তি স্থাপন করতে রাজি হয়েছে। দুই দেশের জন্য এ এক অভাবনীয় চুক্তি।

একে মধ্যপ্রাচ্যে ‘কোনও রক্তক্ষয় ছাড়াই শান্তির চুক্তি’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

এই চুক্তি পাকা করার আগে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দিয়ে দেশটিতে অর্থনৈতিক সাহায্য এবং বিনিয়োগের দ্বার খুলে দেন।

আর এতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের চুক্তির পথ সুগম হয়। গত দুই মাসের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটা তৃতীয় আরব দেশ হচ্ছে সুদান।

এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে দুই উপসাগরীয় আরব দেশ আমিরাত এবং বাহরাইন ২৬ বছরের মধ্যে প্রথম শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে সই করেছে এই দেশ দুটি।

সুদান-ইসরায়েলের বন্ধুতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে দিয়ে পররাষ্ট্রনীতিতে একটি অর্জন। িইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে ওই অঞ্চলের জন্য ‘নতুন যুগ’ আখ্যা দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের নেতারা এ চুক্তিকে তাদের ‘পিঠে আরেকটি ছুরিকাঘাত’ হিসাবেই প্রত্যক্ষ করছেন। আরব মিত্র দেশগুলোকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গুরুত্বকে আমলে না নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সখ্য গড়তে দেখছেন তারা।

ট্রাম্প তার ঘোষণায় জানিয়েছেন, অন্তত আরও ৫ টি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চায়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।