রোববার আর্মি রেডিওকে ইসরায়েলি মন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, “এ চুক্তির (আমিরাতের সঙ্গে) পথ ধরে আরও কিছু চুক্তি হবে। উপসাগরীয় অঞ্চলের আরও দেশ এবং আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলো এই চুক্তি করতে পারে।”
“আমি মনে করি বাহরাইন এবং ওমান এখন নিশ্চিতভাবেই এ পরিকল্পনায় আছে। তাছাড়া আমার মনে হয়, আগামী বছর আফ্রিকার আরও কিছু দেশের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে সবার প্রথমেই আছে সুদান।”
ইসরায়েল এবং আমিরাত গত বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তি সই করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সেদিন ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল এবং ইউএই ‘ঐতিহাসিক’ শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
বাহরাইন এবং ওমান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে হওয়া এই শান্তিচুক্তির প্রশংসা করে একে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে দেশ দুটি এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত দুই বছরে ওমান এবং সুদানের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ওমান সফর করেছিলেন তিনি।
রোববার মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদেরকে নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমি আশা করি আরও দেশ শান্তির এই পথ পরিক্রমায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।” নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহু আরও বলেছেন, “এ এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। যা আরব বিশ্বের সঙ্গে শান্তি এগিয়ে নেবে এবং শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সঙ্গে একটি সত্যিকারের শান্তিস্থাপনের দিকে নিয়ে যাবে।”