রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন তাদের টুইটার একাউন্টে এ খবর জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই টুইটে চ্যানেলটি বলেছে, “ভগিনীতুল্য রাষ্ট্র বাহরাইন যে উদ্যোগ নিয়েছে সালতানাৎ তাকে স্বাগত জানাচ্ছে।”
এতে আরও বলা হয়, “ওমান আশা করে কিছু আরব দেশ নতুন যে কৌশলগত পথটি গ্রহণ করেছে তা ফিলিস্তিনি ভূমিগুলোর ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বের শান্তিপূর্ণ অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।”
গত মাসে ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত(ইউএই)। এরপর শুক্রবার এক ঘোষণায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদক্ষেপ অনুসরণের ঘোষণা দেয় বাহরাইন।
বাহরাইন এবং ওমান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল শান্তিচুক্তির প্রশংসা করে একে স্বাগত জানিয়েছিল।
ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির পর বাহরাইন এবং ওমানও এ পথে হাঁটতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন। তার বক্তব্যের সত্যতা ইতোমধ্যে অনেকটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠা ইরানকে ঠেকাতে সৌদি আরবের মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন তেল আবিবের সঙ্গে হাত মেলাতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে তাদের এ পদক্ষেপ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিতে কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদেরকে আরও বিপাকে ফেলবে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের।