ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবু ধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এ ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে বলেই আশা করছেন তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিত তীরের বিশাল অংশ নিজেদের দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন পর্যন্ত নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থাকার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে ওই দেশগুলোর অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ আছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে হওয়া ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তির এ দিনটিকে টুইটারে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ অঞ্চলের জন্য এটি এক কূটনৈতিক জয়।”
তিনি আরও বলেন,“আরব-ইসরায়েল সম্পর্কে এ এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এ চুক্তি উত্তেজনা নিরসন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য নবদ্যেম সঞ্চার করবে।”
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ইসরায়েল-আরব তৃতীয় চুক্তি এটি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি সই করেছিল।
বিবিসি জানায়,আগামী কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েল ও আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং একে অপরের দেশে দূতাবাস স্থাপন নিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করবেন।