ভারতের কেরালায় দুর্ঘটনায় পড়া উড়োজাহাজটির ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার করা হয়েছে। এবার সেটির তথ্য পরীক্ষায় বিমানটি কেন দুর্ঘটনায় পড়েছিল তা জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
Published : 09 Aug 2020, 07:15 PM
গত শুক্রবার ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি দুবাই থেকে ১৯০ জন আরোহী নিয়ে কেরালার কালিকট (কোঝিকোড়) বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে রানওয়েতে পিছলে গিয়ে ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়।
উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় দমকা বাতাসসহ প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। ভারতের সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক অরুণ কুমারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পাইলট প্রথম দফায় অবতরণে ব্যর্থ হন এবং আকাশে চক্কর দিয়ে দ্বিতীয় দফায় অবতরণ করেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘‘ভেঙে পড়া উড়োজাহাজটির ‘ব্ল্যাক বক্স’ এর তথ্য বিশ্লেষণ করেই কেবল দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এজন্য একটি পরিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।’’
আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি বা উড়োজাহাজটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যদি ‘ব্ল্যাক বক্স’ পরীক্ষা করতে চায় তবে ভারত পূর্ণ সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
কালিকট বিমানবন্দরের যে রানওয়েতে উড়োজাহাজটি নামার চেষ্টা করেছিল সেটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই হাজার ৭০০ মিটার। এভিয়েশনের ভাষায় এটিকে ‘টেবিল-টপ’ রানওয়ে বলা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের আরেক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সাধারণত উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজ বাতাসের অনুকূলে এবং অবতরণের সময় বাতাসের গতির বিপরীত দিকে থাকে।
‘‘কিন্তু দুর্ঘটনায় পড়া উড়োজাহাজটির পাইলট বাতাসের অনুকূলে থেকে নামার চেষ্টা করেন। ফলে রানওয়ে স্পর্শ করার আগেই সেটি এক হাজার মিটার পেরিয়ে আসে। যে কারণে গতি কমিয়ে উড়োজাহাজটিকে থামানোর মতো যথেষ্ট জায়গা তিনি পাননি।
‘‘ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারি বর্ষণ হচ্ছিল। রানওয়েও ভেজা ছিল। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠে। সাধারণত ঝড়ো বাতাসের মধ্যে উড়োজাহাজ উঠা-নামার সময় অনুকূল বাতাস সেটার গতি স্বাভাবিক থেকে বাড়িয়ে দেয়।”