চীনের নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন ‘বিশ্বাসঘাতকতা’

হংকংয়ে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে চীন আন্তর্জাতিক চুক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

>>রয়টার্স
Published : 2 July 2020, 05:20 PM
Updated : 2 July 2020, 05:36 PM

গত মঙ্গলবার চীনের পার্লামেন্ট আইনটি পাসের পর ১ জুলাই থেকেই হংকংয়ে তা কার্যকর হয়েছে।

আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদরা এ আইনের নিন্দা করেছে। আইনটিকে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেছে তারা।

নিউজ চ্যানেল সিএনবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার পেন্স বলেন,  “ চীন যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করেছে এবং এখন যেটি হংকংয়ে চাপানো হচ্ছে... তা আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন। যে চুক্তি তারা সই করেছিল। বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।”

১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের সময়কার চুক্তির কথাই বলছেন মাইক পেন্স। যে চুক্তির আওতায় ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থার’ অধীনে হংকংয়ে সুনির্দিষ্ট স্বাধীনতা বজায় রাখা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

চীন বলছে, অস্থিরতা প্রশমন এবং ব্যাপক গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সামাল দিতেই এ আইন প্রয়োজন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্যও আইনটি হুমকি নয় বলে দাবি চীনের।

কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এ আইনে হংকংয়ের উচ্চমাত্রার স্বায়ত্তশাসন মারাত্মকভাবে খর্ব হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিচারবিভাগ এবং আইনের শাসনেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

আইনটির প্রতিবাদে হংকংয়ে বুধবার বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। নিরাপত্তা আইনে ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করেছে পুলিশ।

নতুন এ আইনে হংকংয়ের ‘স্বাধীনতা’ ক্ষুণ্ণ হয়েছে অভিযোগ করে এতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের যুক্তরাজ্যের সাবেক উপনিবেশটি ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।