হংকংয়ের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে ‘নাগরিকত্বের’ প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের

হংকংয়ের প্রায় ৩০ লাখ বাসিন্দাকে যুক্তরাজ্যে ‘বসবাস করার ও পরিশেষে নাগরিকত্বের আবেদন করার’ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2020, 05:12 AM
Updated : 2 July 2020, 05:26 AM

নতুন নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ের ‘স্বাধীনতা’ ক্ষুণ্ণ হয়েছে অভিযোগ করে এতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের যুক্তরাজ্যের সাবেক উপনিবেশটি ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, এ প্রস্তাব অনুযায়ী হংকংয়ে যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দাসহ আরও ২৬ লাখ ‘উপযুক্ত’ বাসিন্দা যুক্তরাজ্যে গিয়ে পাঁচ বছর বসবাস করতে পারবেন, এর এক বছর পর তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

১৯৮৭ সালে হংকংয়ের ব্রিটিশ পার্সপোর্টধারীদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ওই অধিকারে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে বর্তমানে তারা ভিসা ছাড়া যুক্তরাজ্যে গিয়ে ছয় মাস অবস্থান করতে পারতেন।

এখন ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হংকংয়ে থাকা বিদেশি ব্রিটিশ নাগরিকরা ও তাদের ওপর নির্ভরশীলরা যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার পাবে। তারা পাঁচ বছর পর্যন্ত সেখানে কাজ করার ও পড়াশোনার অধিকার ভোগ করবে। এই পর্যায়ে তারা স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে পারবে আর পরের বছর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।

মঙ্গলবার হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ যে নতুন নিরাপত্তা আইন পাস করেছে তা ১৯৮৫ সালের সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণার ‘পরিষ্কার ও গুরুতর লংঘন’ বলে অভিযোগ করেছেন জনসন।

১৯৯৭ সালে হংকংয়ের সার্বভৌমত্ব চীনের অধিকারে যাওয়ার পরবর্তী ৫০ বছর পর্যন্ত হংকংয়ের সুনির্দিষ্ট ধরনের স্বাধীনতা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে তার চুক্তি এই ঘোষণা। এই চুক্তি মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।

জনসন বলেছেন, “যৌথ ঘোষণায় হংকংয়ের যে স্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষিত হয়েছিল নতুন নিরাপত্তা আইনে সেই উচ্চমাত্রার স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

“আমরা পরিষ্কার করছি, চীন এই ধারা অব্যাহত রাখলে আমরা যাদের ব্রিটিশ নাগরিকের (বিদেশি) মর্যাদা আছে তাদের জন্য একটি নতুন পথ খুলে দিব আর এখন আমরা তাই করছি।”

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব স্যার সিমন ম্যাকডোনাল্ড চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়োমিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে হংকংয়ের নিরাপত্তা আইন নিয়ে ব্রিটিশ সরকার ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন।