সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে তুরস্কের ড্রোন হামলায় ১৯ সিরীয় সৈন্য নিহত হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে।
Published : 02 Mar 2020, 09:26 AM
সিরিয়ার একটি সামরিক বহর ও সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলাগুলো চালানো হয় বলে এসওএইচআরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
তুরস্ক রোববার সিরিয়ার দুটি যুদ্ধবিমানও গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
সিরিয়ার সরকারের পক্ষে থাকা রাশিয়া সর্তক করে বলেছে, সিরিয়ার আকাশসীমায় তুরস্কের আকাশযানের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা তারা দিতে পারবে না।
গত সপ্তাহে ইদলিবে সিরিয়ার বিমান হামলায় তু্রস্কের ৩৪ সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার জেরে ইদলিবে তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার প্রধান সামরিক মিত্র রাশিয়ার বড় ধরনের সংঘাত বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইদলিবে তুরস্কের সেনারা ও তুরস্কপন্থি সিরীয় বিদ্রোহীরা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। রোববার সেখানে তুরস্কের ভূপাতিত করা সিরিয়ান দুই যুদ্ধবিমানের পাইলট প্যারাশুট যোগে নিরাপদে নেমে গেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে সিরিয়া তুরস্কের তিনটি ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি করেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসএএনএ জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিমে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করছে সিরিয়া এবং ওই সীমা লঙ্ঘনকারী যে কোনো আকাশযানকে ‘শত্রুর পক্ষের আকাশযান বিবেচনা করে ভূপাতিত করবে’।
ইদলিবের বিদ্রোহীদের পক্ষে থাকা তুরস্ক জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স ও বহু ট্যাঙ্কের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
ইদলিবে তাদের সামরিক অভিযানকে ‘স্প্রিং শিল্ড’ নাম দিয়েছে তুরস্ক। সেখানে তারা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না বলে জোরালোভাবে জানিয়েছে।
তুরস্ক সিরীয় বাহিনীর ২ হাজার ২১২ সদস্যকে ‘নিষ্ক্রিয়’ (হত্যা, আহত বা আটক) করার দাবি করেছে।
কিন্তু ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তুরস্কের হামলায় শতাধিক সিরীয় সরকারি সৈন্য ও দামেস্কপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে এসওএইচআর জানিয়েছে।
সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ে সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তুরস্ক-সমর্থিত কয়েকটি বিদ্রোহী দল ও জঙ্গি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিব প্রদেশ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে।
ইদলিব সিরিয়ার শেষ প্রদেশে যেখানকার বহু এলাকা এখনও সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে।
আরও খবর -