পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো প্রায় সাড়ে চারশ’ মানুষ।
Published : 25 Sep 2019, 01:18 PM
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুরোদমে উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও কমে আসছে বলে বুধবার জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার বিকালে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল। ভূমিকম্পের উৎস পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর শহরের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য মতে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ঝিলাম নগরীর ১৪ মাইল উত্তরে পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের সীমান্ত রেখা বরাবর ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, শিয়ালকোট, মুলতানসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে কাশ্মীরের মিরপুরেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-ছবিতে মিরপুরে ভেঙে পড়া ভবন এবং বিভিন্ন সড়কে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে।
মঙ্গলবার বিকালের ভূমিকম্পের পর আতঙ্কিত লোকজন বাড়িতে বাইরে খোলা জায়গায় রাত কাটিয়েছেন বলে জানান কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তবে বুধবার সকালে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কাজ শুরু করা হয়। যেসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামতের কাজও রাতেই শুরু হয়ে গেছে।
মিরপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তায়িব বুধবার মৃতের সংখ্যা ৩৭ এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইটে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজাদ কাশ্মীরে এর আগে ২০০৫ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিকালের এই ভূমিকম্প ভারত শাসিত কাশ্মীর, পাঞ্জাবের চন্ডীগড় ও উত্তরখাণ্ডের দেরাদুনেও অনুভূত হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে এতে কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।