নারী-পুরুষ সমতার দাবিতে সুইজারল্যান্ডজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছে নারীরা। সমতায় দেশটির ধীর গতির বিরুদ্ধেই এ বিক্ষোভ।
Published : 14 Jun 2019, 09:02 PM
২৮ বছর পর দেশটিতে শুক্রবার এ ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে। এর আগে একইরকম দাবি নিয়ে দেশটিতে নারীদের বিক্ষোভ হয়েছিল ১৯৯১ সালে।
দীর্ঘ সময় ধরেই সুইস নারীরা নারী-পুরুষ সমতা ত্বরান্বিত করার জন্য প্রচার চালিয়ে এসেছে।
১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষের পর ভোটের অধিকারের লড়াইয়েও অন্যান্য ইউরোপীয় নারীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিল সুইস নারীরা। কিন্তু ১৯৭১ সালের আগে তাদের সে অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়নি।
১৯৯১ সালে সুইস নারীরা আন্দোলনে নামার সময়ও সুইস সরকারে কোনো নারী ছিল না। ছিল না মাতৃকালীন ছুটিরও কোনো বিধান। তবে গত ২৮ বছরে দেশটি কিছুটা এগিয়েছে।
কিছু বিষয় পরিবর্তন হয়েছে। এখন দেশটির সরকারে ৮ জন নারী মন্ত্রী আছে। নারীদের মাতৃকালীন ছুটিরও বিধান হয়েছে।
তবে আয়ের দিক থেকে সুইস নারীরা এখনো পুরুষের চেয়ে গড়ে ২০ শতাংশ কম আয় করে। ব্যবস্থাপনার কোনো কাজে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নেই বললেই চলে। চাইল্ডকেয়ারের তেমন সুযোগ সেদেশে নেই। আর তা ব্যয়বহুলও।
গত মাসে আন্তর্জাতিক লেবার অর্গানাইজেশনের হিসাবমতে, ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন পদে নারী ও পুরুষের মধ্যে বেতনের হারের দিক থেকে সুইজারল্যান্ডের অবস্থান ছিল সবচেয়ে নিচে।
এবারের বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে ১৯৯১ সালের বিক্ষোভের আয়োজকদেরও কেউ কেউ। গত ২৮ বছরে সুইজারল্যান্ডে উন্নতি হয়েছে বলে অনেকে মনে করলেও পেনসনের দিক থেকে চিত্রটা এখনো মেয়েদের জন্য সুবিধাজনক নয়।
পুরুষদের চেয়ে দেশটিতে নারীর পেনশন ৩৭ শতাংশ কম। নারীরা সন্তানের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেয়- এটিই তাদের ক্ষেত্রে এ বৈষম্যের প্রাথমিক কারণ।
নারী-পুরুষের সমান বেতনের বিষয়টি নিয়ে আরো যাচাই বাছাই করার একটি পার্লামেন্টারি সিদ্ধান্তের পর এর প্রতিবাদে গতবছরই প্রথম নতুন একটি ধর্মঘটে নামার পরিকল্পনা হয়েছিল।
তখন থেকেই নারীরা দেশজুড়ে সংগঠিত হয়েছে এবং স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে হ্যাশট্যাগ আন্দোলনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে।