এক সপ্তাহ আগে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের ইমাম জামাল ফাউদা বর্ণবাদী এক খুনির চোখে দেখেছেন জিঘাংসা, দেখেছেন প্রার্থনারত মানুষের রক্ত, দেখেছেন বন্ধু-স্বজনের অসহায় মৃত্যু।
Published : 22 Mar 2019, 09:36 AM
ক্রাইস্টচার্চ হত্যাযজ্ঞের পর কঠোর হচ্ছে নিউ জিল্যান্ডের অস্ত্র আইন
জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ
ঠিক সাত দিন পর এল আরেক শুক্রবার। জুমার নামাজের আগে ফাউদা দেখলেন, বুলেট জর্জরিত আল নূর মসজিদের বাইরে হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ, তাদের মধ্যে আছেন স্বয়ং নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন। দেখলেন, সবার বিষাদ ভরা চোখে ভালোবাসা, সহমর্মিতা।
ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে উগ্র ডানপন্থি এক সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত অর্ধশত মানুষের স্মরণে শুক্রবার দুপুরে দুই মিনিটের জন্য নীরব থাকল পুরো নিউ জিল্যান্ড। ঠিক তার আগে নিউ জিল্যান্ডে বসবাসরত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানাতে সকল প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা হল জোহরের আজান।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মসজিদের ভেতরে বাইরে সমবেত নিউ জিল্যান্ডবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইমাম জামাল ফাউদা বললেন, “ধন্যবাদ তোমাদের হাকার জন্য, ধন্যবাদ ফুলের জন্য।… নিউ জিল্যান্ডকে ভেঙে ফেলা যাবে না। আমাদের হৃদয় ভেঙেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে পড়ব না।”
নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে বলা হয়, জুমার নামাজের সময় হ্যাগলি পার্কের এই সমাবেশে জড়ো হয়েছিল প্রায় দশ হাজার মানুষ। মুসলমান রীতিতে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে প্রধানমন্ত্রী অ’ডুর্ন সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় আধা ঘণ্টা।