জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়া সহিসংতা থামাতে ইন্টারনেট বন্ধের যে সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন, তা অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশটির আদালত।
Published : 21 Jan 2019, 08:25 PM
সোমবার এক আদেশে জিম্বাবুয়ের হাই কোর্ট বলেছে, ইন্টারনেট বন্ধের এখতিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেই।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট এমারসন মুনানগাগুয়া গত ১২ জানুয়ারি জ্বালানির দাম ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী হারারেসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এই সহিংসতায় গত এক সপ্তাহে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি।
রাস্তার বিক্ষোভ দমাতে না পেরে জিম্বাবুয়ে সরকার গত ছয় দিনে দুই দফা ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ রাখে। পরে ইন্টারনেট ফিরলেও ফেইসবুক, টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ রাখা হয়।
জিম্বাবুয়ে সরকার যখন দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে, তখন ইন্টারনেট বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নতুন ক্ষতির কারণ ঘটাচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাও বিঘ্নিত হয়েছে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কারণে।
প্রেসিডেন্ট মুনানগাগুয়ার মুখপাত্র জর্জ চারাম্বা বলেছেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেহিংসতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছিল। জাতীয় স্বার্থেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।