নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজির বিষয়ে সৌদি আরবের কাছে দ্রুত জবাব চেয়েছে ব্রিটেন।
Published : 10 Oct 2018, 11:09 AM
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইরের কাছে ফোন করে খাশুগজির অন্তর্ধানের বিষয়ে ‘ব্রিটেন জরুরি ভিত্তিতে উত্তর প্রত্যাশা করছে’ বলে জানিয়েছেন।
‘যৌথ মূল্যবোধের ওপর বন্ধুত্ব নির্ভর করে’ এমনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সৌদি আরবকে সতর্কও করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
খাশুগজিকে শেষবার গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল, এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। তাকে ওই কনসুলেটের ভিতরে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
সৌদি আরব তুরস্কের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়েও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে যুক্তরাজ্য এটিকে ‘খুব গুরুত্বের’ সঙ্গে গ্রহণ করবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, খাশুগজির অন্তর্ধানের বিষয়ে তিনি তখনো সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
তুরস্ক জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের ইস্তাম্বুল কনসুলেটে তল্লাশি চালাবে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তদন্তের অংশ হিসেবে ওই কনসুলেট ভবনে তল্লাশি চলতেই পারে এবং তারা ‘সহযোগিতা করতে প্রস্তুত’।
সৌদি আরবের দাবি, প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই খাশুগজি ওই কনসুলেট ভবন থেকে বের হয়ে যায়; অপরদিকে তুরস্ক বলেছে, খাশুগজিকে ওই কনসুলেট ভবন থেকে বের হতে দেখা যায়নি।
খাশুগজি ওই কনসুলেট ভবনে থেকে বের হয়েছে, এ বিষয়ে সৌদি আরবকে প্রমাণ দেখাতে বলেছে তুরস্ক। দাবির বিষয়ে প্রমাণ দাখিল না করলে খাশুগজিকে কনসুলেটের ভিতরেই হত্যা করা হয়েছে ধরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের কট্টর সমালোচক ৫৯ বছর বয়সী খাশুগজি বছরখানেক ধরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। এ সময় ওয়াশিংটন পোস্টের মতামত পাতায় লেখালেখি করেছেন তিনি। খাশুগজির নিখোঁজের ঘটনায় সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের জবাব চাওয়া উচিত বলে দাবি জানিয়েছে মার্কিন এ গণমাধ্যমটি।