অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার হার ধারণার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি হচ্ছে বলে বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
Published : 14 Jun 2018, 02:47 PM
বিভিন্ন উপগ্রহের পাঠানো তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বছরে ২০০ বিলিয়ন টনের কাছাকাছি হারে শ্বেতশুভ্র এ মহাদেশটির বরফ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এর ফলে প্রতিবছর সমুদ্রের উচ্চতা শূন্য দশমিক ৬ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে; ২০১২ সালে হওয়া সর্বশেষ পর্যালোচনার তুলনায় বৃদ্ধির এ হার তিনগুণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯৯২ সাল থেকে ২৫ বছরে অ্যান্টার্কটিকার সব মিলিয়ে প্রায় দুই দশমিক সাত ট্রিলিয়ন টন বরফ গলেছে। এই সময়ের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৭ দশমিক ৫ মিলিমিটারেরও বেশি।
নেচার সাময়িকীতে বিজ্ঞানীরা তাদের নতুন এই পর্যালোচনার তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সমুদ্রপুষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও বরফ গলার হারকে বিবেচনায় নিয়ে উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর এখনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করা উচিত বলে মন্তব্য গবেষকদের।
তারা বলছেন, নিচে থাকা উষ্ণ পানি এবং হিমবাহের সামনের অংশ গলে যাওয়ার কারণে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের পশ্চিম অংশের বরফ দ্রুত সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে।
“কখন এটি শুরু হয়েছে তা বলতে পারছি না, পেছনের কোন সময় থেকে সমুদ্রে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটি পরিমাপ করিনি আমরা। যা আমরা বলতে পারি, তা হলো- অ্যান্টার্কটিকা এখন আগের তুলনায় বেশ উষ্ণ। স্বাভাবিকের চেয়েও আধা ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ এখন মহাদেশটি।
“প্রতিবছর এর চত্বরের প্রায় পাঁচ মিটার পরিমাণ বরফ গলে যাচ্ছে। এ কারণেই সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া বিষয়টি দেখছি আমরা,” বলেন উপগ্রহের পাঠানো তথ্য পর্যালোচনাকারী আইস শিট ম্যাস ব্যালেন্স ইন্টার-কম্পারিজন এক্সারসাইজের (আইএমবিআইই) প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু শেফার্ড।