রুয়ান্ডায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) একটি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভরত শরণার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।
Published : 23 Feb 2018, 03:27 PM
কারংইতে এ ঘটনায় সাত পুলিশ আহত হয়েছেন বলে শুক্রবার টুইটারে জানায় রুয়ান্ডা পুলিশ। ১৫ শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে।
তহবিল সংকটের কারণে গত মাসে ইউএনএইচসিআর রুয়ান্ডায় অবস্থান করা শরণার্থীদের খাদ্য সহায়তার ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। যা আরও কমিয়ে দিতে বাধ্য হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে কিজিবা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে প্রায় তিন হাজার শরণার্থী ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কারংগিতে ইউএনএইচসিআর’র কার্যালয়ের সামনে গত মঙ্গলবার থেকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে রাষ্ট্রীয় বেতারে জানান পুলিশের এক মুখপাত্র।
তিনি বলেন, “নিরাপত্তাবাহিনী তাদের শক্তি প্রয়োগ করবে এমন সতর্কবার্তা দেওয়ার পর গতকাল বিকালে আমরা আমাদের বাহিনীকে কাজে লাগাই।
“এ সময় তারা পাথর ও ধাতব টুকরা ছোড়া শুরু করে। যার আঘাতে প্রায় ২০ শরণার্থী এবং সাত পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। আহত শরণার্থীদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন।”
কিজিবা শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় ১৭ হাজার শরণার্থী বসবাস করে। যাদের বেশিরভাগই ডেমক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর নাগরিক।
রুয়ান্ডা প্রায় এক লাখ ৭৪ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদের প্রায় ৫৭ হাজার প্রতিবেশি দেশ বুরুন্ডি থেকে ২০১৫ সালে এসেছে।
বাকিদের বেশির ভাগ গত ২০ বছর ধরে কঙ্গো থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থী।