কাতালুনিয়ায় সরাসরি শাসন চালুর বিকল্প নেই: রাখয়

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয় সিনেটরদেরকে কাতালুনিয়ায় সরাসরি মাদ্রিদের শাসন চালুর পদক্ষেপ অনুমোদন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার উদ্যোগ নিয়ে বাড়তে থাকা সঙ্কট সমাধানে সেখানে সরাসরি শাসন চালুর কোনও বিকল্প নেই বলেই মনে করেন তিনি।

রাখয় বলেন, তিনি কাতালান নেতা কার্লেস পুজদেমনসহ তার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সব আঞ্চলিক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে চান।

সিনেটে তার এ বক্তব্যকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে সবাই।

স্পেনের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট এরই মধ্যে সংবিধানের ১৫৫ অনুচ্ছেদ অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসেছে। এ আইনবলেই কেন্দ্রীয় সরকার স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলে সরাসরি শাসন চালুর ক্ষমতা পাবে।

সিনেটে এক ভাষণে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী রাখয় বলেন, “কোনও প্রতিকারই যখন থাকে না কেবল তখনই বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হয়। আমার মতে, এটি করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। একমাত্র যে কাজটি করা যায় এবং করা উচিত তা হচ্ছে, আইন মেনে নেওয়া এবং তা মেনে চলা।”

কাতালান নেতারা আইন অগ্রাহ্য করছেন এবং গণতন্ত্র নিয়ে তামাশা করছেন বলে মন্তব্য করেন রাখয়। তিনি বলেন, কাতালুনিয়ায় আইন, গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা দরকার।

কাতালান সরকার পরিবারে, সমাজে বিভক্তি ডেকে আনছেন বলে রাখয় অভিযোগ করেন। বহু মানুষ এরই মধ্যে এ বিরূপ পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এবং অনিশ্চয়তার কারণে ওই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিনেট রাখয়ের প্রস্তাবের সমর্থনেই কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং এ প্রস্তাবে বিরোধীদলগুলোরও সমর্থন আছে। ওদিকে, কাতালান পার্লামেন্ট এর জবাবে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কাতালুনিয়ার প্রধান শহর বার্সেলোনাতে এরই মধ্যে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। স্বাধীনতার সমর্থকরা রাস্তায় রাস্তায় জড়ো হচ্ছে। একতরফাভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারে তারা।

স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার এবং আন্তর্জাতিক মহলের যাবতীয় সতর্কতা উপেক্ষা করে স্বাধীনতা প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর কাতালুনিয়ায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।

গণভোটে বিপুল ব্যবধানে ‘হ্যাঁ’ জয়লাভ করেছে জানিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন পুজদেমন।

তার জবাবে কাতালুনিয়াকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নেওয়ার হুমকি দেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয়।