যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিলে তার ফল কি হবে তা নিয়ে উত্তর কোরিয়াকে ‘আতঙ্কে থাকার’ হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 11 Aug 2017, 12:51 PM
তিনি বলেন, যদি উত্তর কোরিয়া ‘উল্টা-পাল্টা কাজ করে’ তবে তাদেরকে ‘ওইসব অল্প কিছু দেশের মত’ সমস্যায় পড়তে হবে।
এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার জন্য তার হুঁশিয়ারি ‘খুব সম্ভবত যথেষ্ট কঠোর ছিল না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসি জানায়, নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে নিজের গল্ফ ক্লাবে বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন ট্রাম্প।
সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এটা বলতে পারি, যদি উত্তর কোরিয়া এমনকি আমরা যাদের ভালোবাসি তাদের অথবা যারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কিংবা আমাদের মিত্র বা আমাদের উপর হামলার চিন্তাও করে তবে তাদের সেটার ফল নিয়ে খুবই আতঙ্কিত হওয়া উচিত।”
“কারণ, তাদের সঙ্গে যা হবে সেটা তারা কখনও কল্পনাও করতে পারবে না।”
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে অত্যন্ত দুর্বল ছিল এবং চীন ‘আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারতো’ বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আলোচনার পথ খোলা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং সম্পর্কে তিক্ততা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার উপর কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ।
ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ার রপ্তানি আয় এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে।
যা নিয়ে ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া অগাস্টের মাঝামাঝি কোনো এক সময় যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রস্তুতি নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ওই হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্রের ছোট্ট ওই দ্বীপটির বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
যদিও দ্বীপটির গভর্নর উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি মোকাবেলার সক্ষমতা গুয়ামের আছে বলে জানিয়েছেন।
গভর্নর এডি ক্লাভো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যন্ত প্রশান্তমহাসাগরীয় এ দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি গাড়ার পর থেকেই এটি হামলার লক্ষ্য হয়েছে। আর সে কারণেই আমেরিকার যে কোনও জায়গার তুলনায় এ এলাকাটি সব ধরনের হুমকি মোকাবেলায় অনেক বেশি প্রস্তুত।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া যুদ্ধ হলে সেটা ‘সর্বনাশ’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। বরং এক্ষেত্রে ‘কূটনৈতিক আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে’ বলে মনে করেন তিনি।
বলেন, “আমেরিকা সবসময় কূটনৈতিক সমাধান চেয়েছে। এটা কূটনৈতিক সমস্যা এবং কূটনৈতিকভাবেই এর সমাধান সম্ভব।”
এদিকে, উত্তর কোরিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।
তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা হয় তবে এএনজেডইউএস (অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র সুরক্ষা) চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় এগিয়ে যাবে।”