“আমি আধুনিক যুগের প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি”, টুইটার ব্যবহার নিয়ে এমনই সাফাই দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 02 Jul 2017, 09:03 PM
বরাবরই টুইটারে দারুণ সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে টুইটারে মন্তব্য করতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
টুইটারে করা তার মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায়ও কম হয়নি। সর্বশেষ এমএসএনবিসি টিভির ‘মর্নিং জো’ শো’য়ের দুই উপস্থাপক মিকা ও স্কারবরোকে ব্যক্তিগতভাবে টুইটারে আক্রমণ করে তার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, যে কারণে ডেমক্র্যাটিক নেতাদের পাশাপাশি অনেক রিপাবলিকান নেতাও ট্রাম্পের সমালোচনায় সরব হয়েছেন।
জবাবে শনিবার ট্রাম্পের টুইট, “শুধু প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি না, বরং আমি আধুনিক যুগের প্রেসিডেন্ট।”
“আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা উচিত না- ভুয়া ও প্রতারক সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিকান নেতারা এবং অন্যরা এটি বোঝানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু মনে রাখবেন; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাষণ ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেই আমি ২০১৬’র নির্বাচনে জিতেছি।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএন তাদের প্রচারিত একটি খবর প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সিএনএন এর ওই খবরে ট্রাম্পের একজন সহযোগীকে নিয়ে কংগ্রেস কমিটি তদন্ত করছে বলে দাবি করা হয়েছিল।
এরপর টুইটারে ট্রাম্পের বাক্যবাণ, “#ভুয়া সংবাদ এবং বস্তাপচা সাংবাদিকতার জন্য শেষপর্যন্ত সিএনএন এর চেহারাটা বেরিয়ে আসতে দেখে আমি দারুণ সন্তুষ্ট। এটি সময়ের খেলা!”
অনুসন্ধান ভিত্তিক ওই প্রতিবেদনটি পরে সিএনএনর ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমটির তিন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পদত্যাগ করেছেন।
তারা হলেন: টমাস ফ্রাঙ্ক (তদন্তকারী বিভাগের সম্পাদক), পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী এরিক লিকলাউ এবং লেক্স হ্যারিস (তদন্তকারী বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক)।
ট্রাম্প বারবারই সিএনএনর বিরুদ্ধে ‘ভুয়া সংবাদ’ প্রকাশ এবং তাদের প্রকাশিত সংবাদকে ‘আবর্জনার স্তূপ’ বলেছেন।