‘সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা চার আরব দেশ সঙ্কট সমাধানে তাদের বেশ কয়েকটি শর্তের একটি তালিকা দোহায় পাঠিয়েছে।
Published : 23 Jun 2017, 11:36 AM
ওই চার দেশের একটির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কুয়েতের মাধ্যমে ওই তালিকা কাতারে পাঠানো হয়েছে।
আরব দেশগুলোর মধ্যে চলমান সঙ্কট সমাধানে কুয়েত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছিল।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইনের পাঠানো ওই তালিকায় ১৩টি দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের কথাও আছে।
এছাড়া কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া এবং দেশটিতে অবস্থান করা ওই চার দেশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের দাবিও জানানো হয়েছে।
দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কাতারকে ১০দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা। ওই সময় পেরিয়ে গেলে তালিকা ‘বাতিল’ হয়ে যাবে।
তবে এই বাতিল হয়ে যাওয়া বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে ‘মদদ দিচ্ছে’ বলে গত ৫ জুন প্রতিবেশী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়।
সেইসঙ্গে কাতারের সব নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ওই পাঁচ দেশ থেকে এই ঘোষণা আসে।
কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার মধ্য দিয়েই সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন শুরু হচ্ছে বলে টুইটারে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
যদিও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি কাতারেই অবস্থিত এবং সেখান থেকেই মূলত সিরিয়া ও ইরাকে বিমান হামলা চালায় তারা।
এদিকে প্রতিবেশীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কাতার এই সিদ্ধান্ত ‘দুঃখজনক ও ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছে।।
কাতারের এই সংকটে ইরান ও তুরস্ক দেশটির পাশে এসে দাঁড়ায়েছি। ওই দুই দেশ কাতারে খাদ্য পাঠিয়েছে। এছাড়া শক্তি প্রদর্শনের জন্য তুরস্ক সেনা ও সামরিক যান পাঠিয়েছে।
যদিও আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।