ভারতের ছত্তিসগড়ের সুকমা জেলায় মাওবাদী বিদ্রোহীদের হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআইরপিএফ) ২৬ সদস্য নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
Published : 24 Apr 2017, 08:46 PM
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ৭৪ ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা সুকমা জেলায় সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছিল। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টার দিকে তাদের উপর হামলা শুরু হয়।
গৃহমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আহতদের হেলিকপ্টারে করে রাইপুর এবং জগদলপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন সাংবাদিকদের বলেন, “মাওবাদীরা প্রথমে স্থানীয়দের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে সিআরপিএফ সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে।”
“তারপর প্রায় ৩০০ জনের একটি দল আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে..... ওই দলে গ্রামবাসী, নারী এবং কালো পোশাক পরা লোকজন ছিল। তারা স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, একে৪৭ এবং রাইফেল নিয়ে হামলা করে।”
এনডিটিভ’র খবরে বলা হয়, নিকটস্থ ক্যাম্প থেকে সিআরপিএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছে।
Attack on @crpfindia personnel in Chhattisgarh is cowardly & deplorable. We are monitoring the situation closely.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 24, 2017
হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটে বলেন, “ছত্তিসগড়ে সিআরপিএফ সদস্যদের উপর হামলা কাপুরুষোচিত এবং দুখঃজনক। আমরা গভীরভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”
২০১০ সালের ৬ এপ্রিলের পর এটিই মাওবাদীদের সবচে রক্তক্ষয়ী হামলা। সেবার দান্তেওয়াদা এলাকায় মাওবাদীদের হামলায় ৭৬ সিআরপিএফ সদস্য নিহত হয়।
এবারের হামলার পর ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিং দিল্লি সফর বাতিল করেছেন এবং জরুরি বৈঠকের জন্য রাইপুর রওয়ানা হয়েছেন।
দক্ষিণ বাস্তার অংশ সুকমায় মাওবাদীরা খুবই সক্রিয়। সুকমায় গত ১১ মার্চ মাওবাদীদের হামলায় ১২ সিআরপিএফ সদস্য নিহত এবং চারজন আহত হয়। তারাও একটি সড়ক নির্মাণের সময় শ্রমিকদের সুরক্ষা দিচ্ছিল।
হামলার পর ইউনিয়ন গৃহমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, এ হামলা মাওবাদীদের ‘হতাশ হয়ে পড়ার’ ইঙ্গিত। তাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে ‘অভূতপূর্ব সাফল্য’ পাওয়ার কারণেই তারা হতাশ হয়ে পড়েছে।
গত বছর লোকসভায় এক বিবৃতিতে রাজনাথ বলেছিলেন, সেনা অভিযানে ১৩৫ মাওবাদী নিহত, ৭০০ জন আটক এবং ১১৯৮ জন আত্মসমর্পণ করেছে। মাওবাদীদের হামলার হারও ১৫ শতাংশ কমে গেছে।