গেল সপ্তাহে হজ পালনকালে মিনায় পদদলিত হয়ে এক হাজারেরও বেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে- প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনগুলো অস্বীকার করেছেন সৌদি কর্মকর্তারা।
Published : 30 Sep 2015, 03:10 PM
বিবিসি বলছে, ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের মতবিরোধ চলছে।
নাইজেরিয়ার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, জেদ্দার মর্গে ১ হাজার ৭৫ জনের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সংখ্যাটি সৌদি কর্তৃপক্ষের ঘোষিত নিহতের সংখ্যা ৭৬৯ জন থেকে অনেক বেশি।
অন্যান্য দেশগুলোও তাদের কাছে ১ হাজার ৯০টি লাশের ছবি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে।
কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, যাদের ছবি পাঠানো হয়েছে তাদের সবার মৃত্যু পদদলনের ঘটনায় হয়নি, অন্যান্য কারণে মৃত্যু হয়েছে কিন্তু পরিচয় শনাক্ত হয়নি, এমন লাশেরও ছবি পাঠানো হয়েছে।
সৌদি মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি জানিয়েছেন, সৌদি আরবে বসবাস করা অনেক বিদেশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই হজ পালন করেছেন।
এছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদুল হারামে ক্রেইন উল্টে নিহত ১০৯ জনের ছবিও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ট্যুইটারে জানিয়েছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ মৃত ১ হাজার ৯০ হাজির ছবি প্রকাশ করেছে।
সুষমার এই ট্যুইটের সূত্র ধরে মিনার পদদলনে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়ে যায়।
পাকিস্তান ও ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তারাও ইঙ্গিত দেন, তাদের কাছেও এক হাজারেরও বেশি এ ধরনের ছবি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার হজ কর্মকর্তা আব্বা ইয়াকুবু জানিয়েছেন, তিনি জেদ্দায় আছেন, সেখানে মিনায় পদদলনের ঘটনায় নিহতদের লাশ কবর দেওয়া হবে। ১৪টি লরিতে করে এসব লাশ জেদ্দায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, সে সময় পর্যন্ত ১০টি লরি থেকে ১ হাজার ৭৫টি লাশ নামিয়ে মর্গে নিয়ে রাখা হয়েছে; আরো চারটি লরি থেকে লাশ নামানো বাকি আছে।
দুর্ঘটনার পরের বিষয়গুলো সৌদি কর্তৃপক্ষ যেভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে তার কঠোর সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাগরিক হারানো সৌদির প্রতিবেশী দেশ ইরান সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে।
২৫ বছরে হজের সময় যতগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে এবারের ঘটনাতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতদের পাশাপাশি ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন।