বৈধভাবে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র কিনে সেগুলো বাড়িতেই লুকিয়ে রাখেন হামলাকারী, বলছেন ন্যাশভিলের পুলিশ প্রধান।
Published : 29 Mar 2023, 05:57 PM
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিলে স্কুলে হামলাকারী অড্রে হালে ‘মানসিক ব্যাধি’র কারণে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ছোটখাটো একটি অস্ত্রের সংগ্রহশালাও ছিল তার।
বৈধভাবে তিনি সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিলেন এবং সেগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন বাড়িতেই, বলেছেন ন্যাশভিলের পুলিশ প্রধান জন ড্রেক।
স্কুলে বন্দুক হামলার সময় অড্রের কাছে দুটি আধাস্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল। সাত অস্ত্রের মধ্যে হামলায় তিনটি ব্যবহার করেন অড্রে।
তদন্তকারীরা বলছেন, অড্রের বাবা-মাও বলেছেন যে, তাদের কাছে মনে হয়েছিল অড্রের হাতে অস্ত্র থাকা ঠিক না। কিন্তু অনেকগুলো অস্ত্র যে বাড়িতেই লুকানো আছে তা তারা উপলব্ধি করতে পারেননি।
বিবিসি জানায়, অড্রের বাবা-মা ভেবেছিলেন, তার কাছে কেবল একটি বন্দুক ছিল এবং সেটি বিক্রি করে ফেলা হয়েছে।
ন্যাশভিল পুলিশ বিভাগের প্রধান জন ড্রেক বলেন, অস্ত্রগুলো স্থানীয় পাঁচটি বন্দুকের দোকান থেকে বৈধভাবেই কেনা হয়েছিল। অড্রের আত্মহত্যা করা কিংবা সহিংস আচরণের প্রবণতার কোনও খবর জানা থাকলে পুলিশ অস্ত্রগুলো জব্দের চেষ্টা করত। কিন্তু তার সম্পর্কে পুলিশের কোনও ধারণাই ছিল না।
ড্রেক এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা হামলাকারী অড্রেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছেন। তবে কর্মজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিংকডইন অ্যাকাউন্টে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দেওয়া আছে অড্রের।
তার হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ এখনও সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। হামলার সময় কোনও শিক্ষার্থীকে সুনির্দিষ্টভাবে খোঁজ করেননি অড্রে। তিনি নির্বিচারে গুলি চালান।
গত সোমবার সকালে ন্যাশভিল শহরের কোভনেন্ট স্কুলে ঢুকে অ্রড্রের নির্বিচার গুলিতে তিন শিশুসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশের গুলিতে অড্রেও নিহত হন।
হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে অড্রে তার এক সাবেক সহপাঠীকে বার্তাও পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে আভেরিয়ানা প্যাটন ইন্সটাগ্রামে ওই বার্তা পান। সেই বার্তা পড়ে মনে প্যাটনের মনে হয়েছিল, অড্রে খুবই বিষন্ন এবং কিছু একটা করতে মরিয়া।
বিবিসি-কে প্যাটন বলেন, “সে (অড্রে) বলেছিল, আমি তাকে পরে খবরে দেখতে পাব... মর্মান্তিক কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।”
প্যাটন বলেন, “আমি জানি না সে কিসের সঙ্গে লড়ছিল.. কিন্তু আমি জানতাম এটি ছিল মানসিক একটি ব্যাপার।”