‘নেতানিয়াহুকে বলতে এসেছি- চলে যান, বিদায় হোন’

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পার্লামেন্টের সামনেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েলের বিক্ষোভকারীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2023, 12:45 PM
Updated : 9 Nov 2023, 12:45 PM

ইসরায়েলের পার্লামেন্টের সামনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে একদল মানুষ। তাদের মধ্যে আছেন সেইসব ইসরায়েলি যারা গত ৭ অক্টোবরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় স্বজন হারিয়েছেন কিংবা যাদের পরিবারের সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি হয়েছেন।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পার্লামেন্টের সামনেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন এই বিক্ষোভকারীরা।

তাদেরই একজন মাওজ ইনোন। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেট থেকে কিছু দূরেই রাস্তার ওপর বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট্ট তাবুঁতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

নেটিভ হাআসারা এলাকায় হামাসের যোদ্ধাদের অক্টোবরের সেই হামলায় মাওজ তার মা-বাবাকে হারিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসি’র এক সাংবাদিক।

বাবা-মাকে হারানোর কষ্টের কথা জানিয়ে মাওজ বলেন, তিনি দুঃখের সাগরে ডুবে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি প্রচণ্ড ক্ষিপ্তও। তার কথায়, “সরকার আমার মা-বাবার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। হামলার শিকার ১,৪০০ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গাজায় নিয়ে গিয়ে হামাসের জিম্মি করে রাখা ২৪০ জনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”

মাওজের ৭৬ বছর বয়সী মা বিলহা নেতানিয়াহু বিরোধী ছিলেন। তিনি একটি বিক্ষোভে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার দিন সকালেই বিলহা এবং তার স্বামীকে হত্যা করা হয়। মাওজ বলেন, “এ কারণে আমি আমার মায়ের জন্য এখানে (বিক্ষোভ) এসেছি। এখানে আমি বলতে এসেছি—চলে যান, বিদায় হোন।”

মাওজ ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি সম্বলিত পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তার সঙ্গে থাকা বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, হামাসের হাতে পরিবারের সদস্যরা জিম্মি থাকলে তারা কী করতেন। মাওজ এবং তার সঙ্গেকার বিক্ষোভকারীরা সবাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা পার্লামেন্টের বাইরে রাস্তায় তাঁবুতে বসেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।

এতে ইসরায়েলিদের এই বিক্ষোভ দীর্ঘ সময় ধরেই চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জবাবদিহিতার জন্য যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।