এক সপ্তাহ আগে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতে ১০ জন নিহত হওয়ার পর আকাশে ৯ কিলোমিটার জুড়ে ঘন ছাই ছড়িয়ে পড়েছে।
Published : 13 Nov 2024, 04:44 PM
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কাছে একটি আগ্নেয়গিরি থেকে বিপজ্জনক ছাই উদগীরণে আকাশ ছেয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু এয়ারলাইন্স দ্বীপটিতে আসা যাওয়ার কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
বুধবার কান্টাস, জেটস্টার এবং ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া এয়ারলাইন্স এই বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে যাত্রীদের ফ্লাইট বাতিলের খবর জানিয়েছে।
তারা বলেছে, মাউন্ট লেওটোআবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে উড়োজাহাজ চলাচল নিরাপদ নয়।
এক সপ্তাহ আগে আগ্নেয়গিরির বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতে ১০ জন নিহত হওয়ার পর আকাশে ৯ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২ মাইল) জুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো সতর্ক করে বলেছে, বুধবার আগ্নেয়গিরির ছাই দেশটির উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জেটস্টার এয়ারলাইন্সের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সময় বেলা ১২টা পর্যন্ত বালিতে আসা-যাওয়ার তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া, হংকংয়ের ক্যাথাই প্যাসিফিক, ভারতের ইন্ডিগো ও মালয়েশিয়ার এয়ার এশিয়াও তাদের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া বিমান সংস্থাও বুধবার বালিগামী এবং বালি থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে: "সুরক্ষা সর্বদা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমাদের আবহাওয়া দল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।”
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং ক্যারিয়ার স্কুট একইভাবে কিছু ফ্লাইট বাতিল করেছে। যদিও সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, বালিতে আসা এবং যাওয়ার অন্যান্য ফ্লাইট বুধবারও অব্যাহত রয়েছে।
বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক আহমেদ সিয়াউগি শাহাব রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ২২টি আন্তর্জাতিক এবং ১২টি আভ্যন্তরীন ফ্লাইট ব্যহত হয়েছে।
ওদিকে, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে ইন্দোনেশিয়ার বেশ কিছু কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাউন্ট লেওতাওবি লাকি-লাকি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে লাবুয়ান বাজো শহরে একটি জ্যাজ উৎসব নিরাপত্তার কারণে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। অঞ্চলটি ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত। এজন্য প্রায়ই সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। দেশটিতে প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
অতীতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হওয়ার রেকর্ড আছে। ২০২০ সালে একবার মাউন্ট মেরাপি থেকে আসা আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে সোলো শহরের একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।