Published : 02 May 2025, 12:05 AM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০তম দিন উদযাপনের পরপরই তার তীব্র সমালোচনা করে জাতীয় মঞ্চে ফিরে এসেছেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
গতবছর নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে হারের পর বুধবার প্রথম সান ফ্রান্সিসকোয় সবচেয়ে জোরাল একটি ভাষণ দিয়েছেন হ্যারিস। অলাভজনক জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন ‘এমার্জ আমেরিকা’ আয়োজিত বার্ষিক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ভাষণ দেন।
এতে হ্যারিস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেপরোয়া নীতি, অসাংবিধানিক নানা দাবির নিন্দা করেছেন এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের সাহসের প্রশংসা করেছেন।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করে হ্যারিস বলেন, “ট্রাম্প স্পষ্টতই মন্দাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।” ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব আদালতের বিচারকরা রায় দিয়েছেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বেপরোয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রশংসা করেন তিনি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমেরিকানদেরকে আহ্বান জানান হ্যারিস। ট্রাম্পের নীতিতে কেবল ধনীরা সুবিধা পাচ্ছে, বলেন তিনি।
ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর ১৪২ টি নির্বাহী আদেশ সই করেন। যা সাম্প্রতিক সময়ের যে কোনও মার্কি প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি। সরকারি খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে এসব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প মার্কিন বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তাও স্থগিত করেছেন।
ভাষণে হ্যারিস বলেন, “ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের নির্বাহী ক্ষমতা সুসংহত করতে ভয় এবং বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করছেন, যা দেশকে সাংবিধানিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
“তারা এই ধারণা নিয়ে আছে যে, যদি তারা কিছু লোককে ভয় দেখাতে পারে তাহলে তা অন্যদের উপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু তারা যে বিষয়টি বুঝতে পারছে না তা হল, ভয়ই একমাত্র সংক্রামক জিনিস নয়। সাহসও সংক্রামক।”
যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সংগঠিত হওয়া, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং মৌলিক অধিকার ও মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান হ্যারিস।
সাম্প্রতিক রয়টার্স/ইপসোস জনমত জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। মাত্র ৩৬ শতাংশ মার্কিনি ট্রাম্পের অর্থনীতি সামালের নীতি সমর্থন করেছে।