সিরিয়ার ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চলে সরকারি বাহিনী-বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর

দেশটিতে ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া সংঘাত এরই মধ্যে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, জনসংখ্যার অর্ধেককে পরিণত করেছে উদ্বাস্তুতে, লাখ লাখ মানুষকে বাধ্য করেছে অন্য দেশে শরণার্থী হতে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2023, 09:03 AM
Updated : 17 Feb 2023, 09:03 AM

এগার দিন আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার সংগঠন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়া ও তুরস্কে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

ভূমিকম্পে সিরিয়ার নিহতের বেশিরভাগই এই উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে হয়েছে বলে জাতিসংঘের একটি সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রাণঘাতী ওই ভূমিকম্পের পর সেখানে বৃহ্স্পতিবার রাতভর প্রথমবার সিরীয় সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।

তারা বলেছে, সরকারি বাহিনী বিদ্রোহী অধ্যুষিত শহর আতারেবের উপকণ্ঠে গোলা ছুড়েছে। কাছাকাছি যুদ্ধক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে ভারি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েও যুদ্ধ চলছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদুলরেহমান বলেছেন, ভূমিকম্প কেবল আতারেব ও এর আশপাশের এলাকাগুলোরই ২৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে চার হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সারাকেবের কাছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের আরেক এলাকায়ও তুমুল লড়াই হয়েছে; আসাদবাহিনী হামা প্রদেশের দুটি গ্রামের উপকণ্ঠে গোলা ছুড়েছে বলেও দাবি করেছে সিরিয়ান অবজারভেটরি।

রয়টার্স এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

দেশটিতে ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া সংঘাত এরই মধ্যে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, জনসংখ্যার অর্ধেককে পরিণত করেছে উদ্বাস্তুতে, লাখ লাখ মানুষকে বাধ্য করেছে অন্য দেশে শরণার্থী হতে।

ভূমিকম্পের আগেই সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ৪০ লাখের বেশি মানুষ ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে, সেখানে ঠিকভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ অনেক দাতা সংস্থার।