হামাসের হাতে চার ইসরায়েলি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি,বাগান ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা।
Published : 21 Jun 2023, 11:06 PM
চার ইসরায়েলি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা ও কর্মকর্তারা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, হামলার সময় এক ফিলিস্তিনি গুলিতে নিহত হয়েছেন।
রামাল্লাহর কাছের একটি শহরে গাড়ি পোড়ানোর ঘন,কাল ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা গেছে ভিডিও ফুটেজে। ফিলিস্তিনের আরও বেশ কয়েকটি শহরে মঙ্গলবার রাতভর ইসরায়েলি বসতিস্থপনকারীদের হামলার খবর জানিয়েছে বাসিন্দারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঊর্ধ্বতন মন্ত্রীরা পশ্চিম তীরে পুরোদস্তুর সামরিক অভিযান শুরুর ডাক দেওয়ার মধ্যেই চলছে এ তাণ্ডব।
ফিলিস্তিনের আল-লুব্বান আল-শারকিয়া গ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াকুব বলেন, ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা দলে দলে এসে পেট্রোল স্টেশন, বাগান, সিমেন্ট কারখানা এবং ডজন ডজন গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। আর ইসরায়েলের সেনা-পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে।
নজিরবিহীন এবং অস্বাভাবিকরকম হামলা হচ্ছে বলে জানান ইয়াকুব। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গুলি চলছে। কিন্তু অন্ধকারের কারণে এই গুলি বসতিস্থাপনকারীদের কাছ থেকে নাকি ইসরায়েলি সেনাদের কাছ থেকে আসছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
পশ্চিম তীরের আরও শহর এবং গ্রামেও হামলা হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এসব হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান জোরদার হওয়ায় গত ১৫ মাসে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের একটি ইহুদি বসতির কাছে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে চার ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনের দল হামাসের ভাষ্য, জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা এলি বসতির রাস্তার ধারের একটি রেস্তোরাঁ ও একটি গ্যাস স্টেশনে গুলি ছুড়লে আরও চারজন আহত হয়। আর নিহতদের মধ্যে এক শিশুও ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ হামলার ঘটনার পর পশ্চিম তীরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানায়।