পেরুতে একটি সোনার খনিতে আগুন লেগে অন্তত ২৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আগুন থেকে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সেখানে আর কেউ বেঁচে নেই বলেই ধারণা উদ্ধার কর্মকর্তাদের।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা’ নামের ওই সোনার খনির ভেতর বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খনিটি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে ৩০জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তার আগেই সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার আগুন লাগার ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিওতে পাহাড়ের পাদদেশের ওই খনি থেকে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
ধারণা করা হয়, যখন আগুন লাগে তখন খনি শ্রমিকরা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০/১০০ মিটার নিচে কাজ করছিলেন।
কয়েক দশকের মধ্যে এটা পেরুতে সবথেকে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা।
আঞ্চলিক গভর্নরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, খনিটি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখান থেকে সড়কপথে সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনটিতে পৌঁছাতেও ৯০ মিনিট সময় লাগে। আর সবচেয়ে কাছের শহরে যেতে লাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এই দূরত্ব জরুরি উদ্ধার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
স্থানীয় একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়, নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের স্বজনরা রোববার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু তাদের দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
খনি কোম্পানির পক্ষ থেকেও এ দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলে জানায় বিবিসি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি পেরু। দেশটি প্রতিবছর ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদন করে। যা বিশ্বের মোট সরবরাহের প্রায় ৪ শতাংশ।
খনি দুর্ঘটনায় সারা বিশ্বে প্রতি বছর বহু মানুষ প্রাণ হারান।