উড়োজাহাজটি ১৭২ যাত্রী ও ৬ ক্রু নিয়ে কলোরাডো স্প্রিং থেকে উড়েছিল, গন্তব্য ছিল টেক্সাসের ডালাস; ক্রুরা ‘ইঞ্জিনে কম্পন’ শুনতে পেলে এটি কলোরাডোর ডেনভারের দিকে ঘুরে যায়।
Published : 14 Mar 2025, 10:52 AM
কলোরাডোর একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার পর আগুন ধরে যাওয়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি জেটের যাত্রী ও ক্রুদের ডানার সাহায্যে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভিডিও ফুটেজে বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজটির ডানায় জড়ো হওয়া যাত্রীদের দেখা গেছে, তাদের কারও কারও হাতে ছিল ব্যাগ। তার কাছেই উড়োজাহাজটির নিচের দিকে আগুন জ্বলছিল, ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছিল আশপাশ, লিখেছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এফএএ বলেছে, ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জ্বলতে থাকা উড়োজাহাজটির যাত্রীদের ডানা থেকে ফুলানো স্লাইডের সাহায্যে মাটিতে নামিয়ে আনা হয়।
বোয়িংয়ের এই উড়োজাহাজটি ১৭২ যাত্রী ও ৬ ক্রু নিয়ে ডেনভারের কাছেই কলোরাডো স্প্রিং থেকে উড়েছিল, গন্তব্য ছিল টেক্সাসের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
ক্রুরা ‘ইঞ্জিনে কম্পনের’ খবর দেওয়ার পর উড়োজাহাজটিকে স্থানীয় সময় বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ডেনভারের দিকে ঘুরিয়ে ফেলা হয়, বলছে এফএএ।
বিমানবন্দরে নামার পর পার্কিংয়ে যাওয়ার পথে বোয়িংয়ের এই ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
আগুন ও ধোঁয়া বিমানবন্দরের একাধিক গেইট থেকে দেখা গেছে, তবে এই ঘটনায় অন্য কোনো বিমানের উড্ডয়ন বা অবতরণে দেরি হয়নি, বলেছেন বিমানবন্দরের মুখপাত্র মাইকেল কোনোপাসেক।
বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা অনেকের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এসেছে। সেসব ভিডিওতে উড়োজাহাটির যাত্রীদের বিমানের ডানায় হাঁটতে দেখা গেছে, পাশেই কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছিল।
বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড ক্রুদের দেখা গেছে দৌড়ে ডানার কাছে মই নিয়ে আসতে।
কিছু কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটির ডান ইঞ্জিনের নিচে আগুন জ্বলছে, আর এয়ারক্রাফটটির পেছনের দরজায় হাজির হয়েছে ফুলানো স্লাইড।
এমন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটলো যখন উত্তর আমেরিকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা সেখানকার বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি জেটের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছিল।
এই দুর্ঘটনার জন্য এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকের ঘাটতি ও তাদের কাজের চাপ দায়ী কিনা তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে এফএএ-র কয়েকশ শিক্ষনবিশ কর্মীকে ছাঁটাইও করেছে। যদিও এই ছাঁটাই হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর।
ট্রাম্প তার সরকারের ব্যয় কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ককে, যার ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) কোপে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের হাজারো কর্মীর চাকরি গেছে।