সময়সীমার মধ্যে শিবির ছেড়ে না গেলে বরখাস্তের মুখে পড়তে হবে বলে বিক্ষোভকারীদেরকে আলটিমেটাম দিয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
Published : 30 Apr 2024, 01:24 AM
গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তিকে বর্জন করার ডাক দিয়ে চলছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু শিবির গেঁড়ে ধারাবাহিক প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় দুপুর ২ টার মধ্যে শিবির ছেড়ে না গেলে বরখাস্তের মুখে পড়তে হবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেয়নি এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কর্মকর্তাদের আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুশে শফিক সোমবার বলেছেন, ফিলিস্তিনপস্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইভি লিগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জন্য স্থাপন করা তাঁবু শিবির উঠিয়ে নেওয়া নিয়ে নেতৃবৃন্দের কয়েকদিনের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জন্য সহায়ক সম্পদ বর্জন করবে না। তবে গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব রাখছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যানহাটন ক্যাম্পাসের শিবিরে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এই তিন দাবি হচ্ছে: ইসরায়েল-সংশ্লিষ্টতা বর্জন, কলবিম্বয়ার অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষমা করা। শিবির ছেড়ে যাওয়ার আলটিমেটামও বিক্ষোভকারীরা উপেক্ষা করেছে।
নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দানা বাঁধার পর পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয় সেখানে পুলিশ ডাকার পর।
দু’সপ্তাহ আগে ক্যাম্পাসে তাঁবু গাঁড়া শিক্ষার্থীদের একটি ছোটখাট বিক্ষোভ দমন করতে সেখানে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এ ঘটনার পরই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একই ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
সোমবার সকালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছে।
এ চিঠিতেই বলা হয়েছে যে, যেসব শিক্ষার্থী সেচ্ছায় শিবির ছেড়ে যাবে না এবং বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়ে ফর্মে সই করবে না তাদেরকে সেমিস্টার শেষ করতে দেওয়া হবে না। সেইসঙ্গে ক্যাম্পাস থেকেও তাদেরকে সামরিকভাবে বরখাস্ত করা হবে।