বিশ্বে লাখো মানুষ অনাহারে আছে। আরও বহু মানুষ জীবনযাত্রা ব্যয় সংকটে আছে। তাদের কথাই বলেছেন গুতেরেস।
Published : 18 Jul 2023, 12:49 AM
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে রাশিয়ার বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সব জায়গাতেই মানুষ ভুক্তভোগী হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে আছে। আরও বহু মানুষ জীবনযাত্রা ব্যয় সংকটে আছে। রাশিয়ার সিদ্ধান্তের ‘মূল্য দেবে’ এইসব মানুষেরা।
সোমবার শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আর তা না বাড়ানোর বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘ মহাসচিব এই সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা সোমবার রাতেই। বিবিসি জানায়, এ মেয়াদ আর না বাড়ার সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের (ডব্লিউটিও) প্রধানও।
তিনি এক টুইটে লেখেন, “কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাবার, গবাদি পশু খাদ্য এবং সার বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী খাবারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখের সঙ্গেই বলতে হচ্ছে যে, গরিব মানুষেরা আর গরিব দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে।”
কৃষ্ণ সাগর শস্য চু্ক্তি ভেঙে পড়ার প্রতিক্রিয়ায় একই কথা বিবিসি-কে বলেছেন খাদ্য বাণিজ্য দেখভালকারী আন্তর্জাতিক শস্য পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গমের দাম বেড়ে গেলে তা বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভাল হবে না। কারণ বাড়তে থাকা দাম পুষিয়ে দেওয়ার মতো অর্থ তাদের থাকবে না।
শস্যচুক্তিটি হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেইন প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন শস্য এবং অন্যান্য খাবার পরিবহন করেছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে শস্য রপ্তানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, রাশিয়া প্রথমেই কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের বন্দরগুলোর দখল নিয়ে নেয়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেইন থেকে পণ্যের যোগান বন্ধ হয়ে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে।
লাফিয়ে লাফিয়ে শস্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সারা বিশ্বে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেইনের গুদামগুলোতে টন টন শস্য পড়ে নষ্ট হতে থাকে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানির বিষয়ে তিন পক্ষের মধ্যে গত বছর ওই চুক্তি হয়।