এ দফার ভোট গণনায় নির্বাচন কমিশন ভোটারদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দের ভোট গণনা করবে এবং এর ভিত্তিতেই বিজয়ী নির্ধারণ হবে।
Published : 22 Sep 2024, 05:40 PM
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনও প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। ফলে বিজয়ী নির্ধারণে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হচ্ছে।
শ্রীলংকার নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যালট পেপারে ভোটারদের জন্য তাদের পছন্দ অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও প্রার্থী প্রথম ভোট গণনায় ৫১ শতাংশ ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হয়।
এই দফার ভোট গণনায় এখন নির্বাচন কমিশন ভোটারদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দের ভোট গণনা করবে এবং এর ভিত্তিতেই বিজয়ী নির্ধারণ হবে।
প্রথম দফার ভোট গণনায় জনগণের প্রথম পছন্দের প্রার্থীর ভোট গণনা করা হয়েছিল। এর মধ্যে এগিয়ে ছিলেন বামপন্থি রাজনীতিবিদ দিশানায়েকে। তিনি পেয়েছিলেন ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট। আর তার প্রতিপক্ষ বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমদাসা ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন বলেছে, দিশানায়েক এবং প্রেমদাসা ছাড়া সব প্রার্থীই বাদ হয়ে গেছে। এই বাদ যাওয়া প্রার্থীদের ব্যালটই এখন খতিয়ে দেখা হবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দের ভোট সামনের সারিতে থাকা দুই প্রার্থী পেয়েছেন কিনা সেটি দেখা হবে।
এ প্রক্রিয়ায় ভোটারদের পছন্দের ভোট গণনা করে নির্বাচনে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর পাওয়া মোট ভোটের সঙ্গে তা যোগ করাটাই নয়ম। জয় পেতে হলে কোনও প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার পাশাপাশি এককভাবে আরেকটি ভোট পেতে হবে।
শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে যিনি দেশকে ভঙ্গুর অর্থনীতির অবস্থার মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
২০২২ সালে শ্রীলংকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের পরে ব্যাপক বিক্ষোভের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল দেশটিতে।