সেখান থেকে দুইজন শিক্ষক এবং অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Published : 09 Feb 2023, 08:34 PM
তুরস্কের ফামাগুস্তা তার্কিশ মারিফ স্কুল ভলিবল দলের সদস্য (বালক ও বালিকা আলাদা দল) এবং শিক্ষকসহ সেখানে মোট ৩৯ জন ছিলেন; যারা ভূমিকম্পের সময় আদিয়ামান নগরীর ইসিয়াস হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সাততলা ওই হোটেল ধসে পড়লে তাদের সবাই চাপা পড়েন।
এরইমধ্যে সেখান থেকে দুই শিক্ষক এবং অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরো চারজন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিজেরাই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানায় বিবিসি।
বুধবার প্রথমে দুই শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর এক শিক্ষার্থীর লাশ মেলে।
বিবিসি তুর্কি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাকিদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
শিক্ষার্থীদের স্বজনরাও ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন।
সেখানে থাকা এক শিক্ষার্থীর মা ধসে পড়া হোটেল ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আরেক নারী জানান, তার ভাতিজি ১২ বছরের নেহির তারসঙ্গে তার আদিয়ামানের বাড়িতেই থাকছিলেন। কিন্তু ভূমিকম্পের আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে সে হোটেলে গিয়েছিল।
বালিকাদের ভলিবল দলের সবথেকে কনিষ্ঠ সদস্য নেহির। তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বেঁচে যাওয়া একজন শিক্ষক বলেন, যখন ভূমিকম্প শুরু হয় তারা জেগেই ছিলেন। তার মেয়েও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানান তিনি।
সোমবারের ওই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। তাই মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে।
যারা বেঁচে গেছেন তাদেরও এখন প্রচণ্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে খাবার ও পানি ছাড়া মরতে বসার দশা হয়েছে। যা নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া যারা এখনো জীবিত আছেন তাদের উদ্ধারের আশাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়ে আসছে।