দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়লাভের বার্ষিকীতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
Published : 09 May 2024, 09:13 PM
পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বব্যাপী সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, কাউকেই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দিতে দেওয়া হবে না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাহিনীর বিজয়ের বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার পুতিন এই সতর্কবার্তা দেন।
পশ্চিমা সমর্থন থাকার পরও ইউক্রেইন যুদ্ধে রুশ সেনারা এগিয়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অহংকারী’ পশ্চিমা অভিজাত দেশগুলো নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা ভুলে গেছে। তারা বিশ্বজুড়ে সংঘাত উস্কে দিচ্ছে।
রাজধানী মস্কোর রেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের ভাষণে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেন, “আমরা জানি এ ধরনের উচ্চাকাঙ্খার অত্যধিকতা কোন পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বৈশ্বিক সংঘাত এড়াতে সবকিছুই করবে রাশিয়া। কিন্তু একইসঙ্গে আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়া বরদাশত করব না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েই থাকে।”
২০২২ সালে রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেইনে পাঠিয়েছিলেন পুতিন। তখন থেকে এ যুদ্ধ এখনও চলছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধকে পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে (রাশিয়ার) লড়াইয়ের অংশ হিসাবে দেখছেন। তার মতে, ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেওয়াল পতনের পর এ ঘটনা রাশিয়াকে অবমাননার মুখে ফেলেছিল।
ইউক্রেইন এবং পশ্চিমাদের অভিযোগ, পুতিন সাম্রাজ্য বিস্তারের মতো করে ভূখণ্ড দখল করছেন। তারা চলমান এ যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছে। যদিও বর্তমানে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ এবং পূর্ব ইউক্রেইনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ মিলিয়ে ইউক্রেইনের প্রায় ১৮ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া।
রাশিয়া বলছে, একসময়কার রুশ সাম্রাজ্যের অংশ এসব এলাকা আবার রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয়েছে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে হারিয়েছিল। যার মধ্যে ইউক্রেইনেরও লাখ লাখ মানুষ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত বাহিনী নাৎসি বাহিনীকে বার্লিনে পিছু হটে যেতে বাধ্য করে। সেখানেই পরে অ্যাডলফ হিটলার আত্মহত্যা করেন।
১৯৪৫ সালের সেই সময়ে বার্লিনে উঠেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় পতাকা।
নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করতে যেসব মিত্র দেশ জড়িত ছিল তাদের সবাইকেই রাশিয়া সম্মান করে উল্লেখ করে পুতিন বলেছেন, "পশ্চিমের নেতারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষা ভুলে গেছে।"