শিকাগো থেকে ফ্লাইট ২০২ মাউয়ি দ্বীপের বিমানবন্দরে অবতরণের পর কর্মীরা আবিষ্কার করে উড়োজাহাজের চাকার গর্তে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে।
Published : 26 Dec 2024, 07:34 PM
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন হাওয়াইয়ের মাউয়ি দ্বীপের বিমানবন্দর কর্মীরা। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের (ইউএএল) একটি উড়োজাহাজ সেখানে অবতরণ করার পর চাকার গর্ত থেকে উদ্ধার হল একজনের মৃতদেহ।
গত মঙ্গলবার বিকালে শিকাগো শহর থেকে ফ্লাইট ২০২ মাউয়ি দ্বীপের কাহুলুই বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সেখানকার কর্মীরা আবিষ্কার করে উড়োজাহাজের চাকার গর্তে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। উড়োজাহাজের এই অংশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ 'ল্য়ান্ডিং গিয়ার'।
মারা যাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজের চাকার গর্তটি কেবলমাত্র বাইরে থেকেই খোলা ও বন্ধ করা যায়। সেকারণে ওই ব্যক্তি কীভাবে গর্তের কাছাকাছি গেলেন এবং এর ভেতরে গেলেন সেটি স্পষ্ট নয়।
ঘটনাটি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মাউয়ির পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা বা মাউয়ি পুলিশ এর চেয়ে আর বেশিকিছু জানায়নি।
হুইল ওয়েল বা কার্গো হোল্ডের মতো উড়োজাহাজে চাপহীন স্থানে লুকিয়ে থাকলে জীবীত যে কেউ চরম অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে। তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং -৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর মধ্যে নেমে যেতে পারে। এতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই সেখানে বেঁচে থাকতে পারে না।
তবে কেউ কেই এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বেঁচে থাকতে পেরেছেন। গত বছর প্যারিসে আলজেরিয়ার একটি বিমানের আন্ডারক্যারেজ বে থেকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আবার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আফ্রিকা থেকে আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরে আসা একটি কার্গোলাক্স মালবাহী বিমানের সামনের চাকায় লুকিয়ে থাকা একজনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।